“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১২

ঠাকুরমার ঝুলিঃ লালকমল নীলকমল




।। স্বর্ণালী বিশ্বাস ভট্টাচার্য।।
                                       









জনে গাছে টুনটুনিটা
যখন গিয়ে বসে
ঠিক তখনই লালকমলের
স্কুলের বাস আসে।
লালকমল নীলকমল
ছোট্ট দুটি ভাই
পড়ার চাপে ওদের আর
খেলার সময় নাই।
হারিয়ে গেছে ময়ূরপঙ্খি
পক্ষীরাজ ঘোড়া
কোচিং আর হোম ওয়ার্কে
ওদের ভীষণ তাড়া।
কার আগে কে টপকে যাবে
সোনায় মোড়া সিঁড়ি
সূর্য যখন অস্তাচলে
ওরা ফিরছে বাড়ি।

কে কেড়েছে স্বপ্ন ওদের
কে করেছে চুরি
সোনালি দিন শৈশবের
রূপ কথার ঝুড়ি!

রাক্ষসেরা বাড়ছে এখন
তেপান্তরের মাঠে
নিত্য নতুন ছেলেধরার
ফন্দিফিকির আঁটে
গ্রিনকার্ড আর পাউণ্ড –ডলার
সামনে মেলে ধরে
লালকমল নীলকমল
ফাঁদে ধরা পড়ে ।
সোনার কাঠি রূপার কাঠি
জিয়ন কাঠি কই
তোদের জন্যে একটুখানি
স্বপ্ন বুনে থুই,
একটুখানি পাগল হাওয়া
একটু নিয়ম ছাড়া
মেঘলা দিনে খেয়াল খুশির
মাঠ পেরিয়ে যাওয়া।
লালকমল নীলকমল
লোহার কলাই খেয়ে,
স্বপ্নটিকে বাঁচিয়ে রাখার
যুদ্ধ শিখে নে।



কোন মন্তব্য নেই: