“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৯ অক্টোবর, ২০১১

ৰূপকথা

অনুবাদ
মূল বাংলা: সাব্রিনা চিরাজি তিতির



















ৰূপকথাৰ সাধু কওঁ আজি
এখন দেশত এজন আছিল ৰজা; তেওঁৰ হাতীশালত হাতী, ঘোঁড়াশালত ঘোঁড়া,
আৰু ৰাণীৰ কোলা পোহৰাই ৰাজকন্যা দীপান্বীতা।

দিনে দিনে ৰাজকুমাৰী ডাঙৰ হয়, উজ্জলতাৰে পোহৰে চৌদিশ,
ইমান চঞ্চলতা, উচ্ছলতা দেখি লাজত পখিলা লুকায়।
... এদিন এক পক্ষীৰাজ থমকি ৰ’ল, ৰাজপুত্রৰ দুচকুত অবাক বিস্ময়!
চকুত চকু পৰোতেই দীপান্বীতাৰ যেন লাজ লাগি যায়।

সেয়ে হ’ল আৰম্ভ প্রেমৰ, পঙ্খিৰাজৰ পাখিত ভৰ কৰিলে প্রতীক্ষা
দুই ৰাজ্য, দুই ভাষা, ৰাজকন্যাৰ ভালপোৱাৰ নদীকেই যেন কোঁৱৰৰ ভয়!
এদিন পৰাস্ত হ’ল বিভেদ প্রেপৰ আগত
সাত সাগৰ তেৰ নৈ পাৰ হৈ আহি ৰ’ল ভালপোৱাৰ পানচৈ -
দুই ভিন্ন সত্ত্বা এক হ’ল, এক ভাব, এক সুৰ!

নিবিড় সেই মূহুৰ্ত, শিয়ঁৰি শিয়ঁৰি উঠা!
ক্ষণিক পৰেই অপলকে চোৱা, সেই দৃষ্টিত কঁপি উঠে ৰাজকন্যা।
পিছুটানৰ ভয়, হেৰুওৱাৰ আৰু আনন্দ কাষত পোৱাৰ,
কি বিচিত্র সেই সময়!

পঙ্খিৰাজে কোবালে পাখী,
যাব লাগে, যাব লাগে ৰাজপুত্র যুদ্ধলৈ।
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দুটি হাত, চকুৰ ভাষাত জন্ম হ’ল প্রেমৰ কাহিনী
আহিব ফিৰি, পক্ষীৰাজে পুনৰ মেলিব পাখি,
এইবাৰ হ’ব দুজন চোঁৱাৰী ।
দুচকুত এসাগৰ জল!

আৰম্ভ হ’ল দীপান্বিতাৰ প্রতিক্ষাৰ প্রহৰ,
উচ্ছলতাই এৰি দিয়ে পথ নিস্তব্ধতাক।
শান্ত ৰাজকুমাৰীয়ে অকলেই হাঁহে, লাজত পৰে ৰঙা
আৱেশ বিভোৰ দীপান্বিতা!
প্রজাপতি ফিৰি যায়, ফুল পৰে সৰি
সংগীবিহীন।

প্রতিক্ষাৰ দৃষ্টিয়ে আকাশ চোৱে; ভ্রমৰৰ গুঞ্জনে হেৰুৱাই মুগ্ধতা
পক্ষীৰাজত উঠি আহিব, কোঁৱৰ, আহিব।
দীপান্বিতা আকৌ হ’ব আলোকিতা,
কোঁৱৰৰ সকলো যে দীপান্বিতা!
আহিবই লাগিব, পাবই লাগিব ভাল; কোঁৱৰে যে দিছে কথা
ভালপোৱাৰ প্রতিজ্ঞা কি ভঙা যায়?

====================
মূল বাংলা:
রুপকথা
রুপকথার এক গল্প শোনাই আজ -
এক দেশে ছিল এক রাজা ; তাঁর হাতিশালে হাতি , ঘোড়াশালে ঘোড়া ,
আর রানীর কোল আলো করা রাজকন্যা দীপান্বিতা ।
দিনে দিনে রাজকুমারী বড় হয় , উচ্ছলতায় ভরিয়ে রাখে চারিদিক ,
এত চঞ্চলতা ,এত উচ্ছলতা দেখে প্রজাপতি লুকোয় ।
... একদিন এক পঙ্খিরাজ থমকে দাঁড়ালো , রাজপুত্রের চোখে অবাক বিস্ময় !
চোখে চোখ পড়তেই দীপান্বিতা কেমন লজ্জা পেয়ে গেল ,
সেই প্রথম ভালোবাসার শুরু ; পঙ্খিরাজের ডানায় ভর করলো প্রতিক্ষা ।
দুই রাজ্য , দুই ভাষা । রাজকন্যার ভালোবাসার নদীকেই রাজপুত্রের যত ভয় ।
একদিন ভালোবাসার কাছে পরাজিত হলো বিভেদ ,
সাত সাগর পাড়ি দিয়ে ভালোবাসার পানসী এসে দাঁড়ায় -
দুটো ভিন্ন সত্তা এক হলো ; এক ভাবনা , এক সুর !
নিবিড় সেই মুহূর্ত ! প্রতি মুহূর্তে শিউরে ওঠা !
একটু বাদেই অপলকে তাকানো , সেই দৃষ্টির সামনে কেঁপে ওঠে রাজকন্যা ।
পিছুটানের ভয় , হারাবার ভয় আর কাছে পাবার আনন্দ ,
বড় বিচিত্র সেই সময় !পঙ্খিরাজ ডানা ঝাপটালো ,
ফিরতে হবে , রাজপুত্রকে যেতে হবে যুদ্ধ জয়ে ।
প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দুটি হাত , চোখের ভাষায় জন্ম নিলো এক প্রেম কাহিনী ।
আসবে ফিরে , আবার ডানা মেলবে পঙ্খিরাজ ,
এবার সওয়ারি হবে দুজন ।
চোখে এক সমুদ্র জল !
শুরু হলো রাজকন্যা দীপান্বিতার প্রতিক্ষার প্রহর ,
উচ্ছলতা জায়গা ছেড়ে দিলো নিস্তব্ধতা কে ।
শান্ত রাজকুমারী একাই হাসে , লজ্জায় লাল হয় ,
আবেশে বিভোর দীপান্বিতা !
প্রজাপতি ফিরে যায় , ফুলগুলো ঝরে পড়ে ,
সবাই সঙ্গীহীন ।
প্রতিক্ষার চোখ আকাশ ছোঁয় ; ভ্রমরের গুঞ্জন মুগ্ধতা হারায় পঙ্খিরাজের পাখায় ।
আসবে রাজপুত্র ,আসবে । দীপান্বিতা আবার আলোকিত হবে ,
রাজপুত্রের সবটুকু যে তার কাছেই ।
আসতেই হবে , ভালোবাসতেই হবে ; সে যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ,
ভালোবাসার প্রতিজ্ঞা কি ভাঙা যায় ?
০৫.১০.২০১১ ।                                                                                                         (c)ছবি

কোন মন্তব্য নেই: