“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১১

ডিহাং নদীর বাঁকে

অশোক বিজয় রাহা
















কটি রাতের একটু দেয়া নেয়া
           এই তো হলো শেষ,
আজ সকালে পাহাড়- দেশের মেয়ে।
          ছাড়ব তোমার দেশ।
মনের মাঝে ঘরছাড়া কেউ আছে,
         চিনি নে কেউ তাকে,
যাবার বেলা বিদায় ব'লে যাবো
         ডিহাং নদীর বাঁকে।

দুয়ার ঠেলে একটুখানি হেসে
        আবার ফিরে গেলে,
হঠাৎ তুমি এ কী নূতন বেশে
       বাহির হয়ে এলে?
বুকে তোমার আগুন-রঙের শাড়ি
        আগুন যে ধরালো,
উঠল জ্বলে পাহাড়তলির বনে
       বর্শা-ফলার আলো।


কোথায় ছিল সবুজ বনের তলে
     ঐ আগুনের শিখা---
জিহ্বা মেলে হাজার বছর ধ'রে
    তৃষার মরীচিকা?
ঐ আগুনে পড়ছি তোমার মুখে
   তারি অনল-গীতা
জ্বলছে তোমার সর্ব দেহে বুকে
     সর্বনাশের চিতা!





কোন মন্তব্য নেই: