“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১১

চায়ের পেয়ালা

















পেয়ালাটা পড়ে আছে – সব টেবিল ই ফাঁকা
জ্ঞানী গুনী র ঠোঁট ছুঁয়েছে –আজ তবু ও একা ।
বিদ্যা বুদ্ধি ছিল না তার – ছিল শুধু উষ্ণতা
এটাই ছিল এ আসরে তার থাকার বৈধতা ।
আসতো যারা বাঁধন হারা – পাগল, ক্ষ্যাপা কবি ,
কেউ নাটক সিনেমা আর – কেউ আঁকত ছবি ।
কেউ বলত প্রেমের কথা – কেউ করত রাজনীতি ,
কেউ ছাপত পত্রিকা – গল্প , নাটক , আবৃত্তি ।
সুবোধ দা র যত্ন ছিল – চা , দুধ আর চিনি
নিঃশব্দে শুনতে হত – গল্প অভিমানী।
আড্ডা তর্ক চলে গেল – ফেস বুক এর খাতায়
পেয়ালাটা আজ ও আছে – স্মৃতি নিয়ে মাথায়,
সুবোধ দার বয়স হোল – চোখের নীচে ছানি,
পেয়ালাটা খবর রাখে – অভাবের টানাটানি ।
সঙ্গী- সাথী সব ই গেছে – পেয়ালা টা একা ,
বুদ্ধিমানেরা পালিয়ে যায় – পড়ে থাকে বোকা ।


(জীবনের অনেক সোনালী সময় যে
চায়ের পেয়ালায় ঝড় তুলে চলে গেল ,
- তা কে কি বন্ধু আমরা মনে রেখেছি?
যদি না রাখি , তবে সে দায় স্বীকার আমাদের ই )

1 টি মন্তব্য:

সুশান্ত কর বলেছেন...

এ প্রায় আমাদের সবার মনের কথা। কিন্তু এতে ছন্দ পতন আছে প্রচুর। এদিকটাতে একটু জোর দিন স্বাগত, যেহেতু আপনি ছন্দে লিখেছেন।