“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১২

ভাবনা



তুমি  নিজের রক্তে লিখে দিয়ে গিয়েছিলে,
একটি শব্দ "স্বাধীনতা ",
আমার খাতার পাতায়।
অর্থ বুঝতে অনেক দিন লেগেছিল ,
এখনও কতটুকুই বা বুঝতে পেরেছি?
প্রতি সকাল সন্ধ্যায় ,একা একা নিরালায় ভাবতে বসি , 
তোমার রক্তের বিনিময়ে,
নিয়ে আসা স্বাধীনতা কি আমার কাছে সুরক্ষিত?  
বড় বড় অট্টালিকার আড়ালে গড়ে উঠা,
ঘিঞ্জি বস্তির আবর্জনার স্তূপ থেকে ভেসে আসা,
লাওয়ারিস শিশুর অসহায় কান্না,
আমার চিন্তার প্রবাহ কে তছনছ করে দিয়ে যায়।
অনাহারে মৃত্যুর হিসেব  সংবাদপত্রের প্রথম পাতাটিকে ,
ভাগ করে নেয় কালো টাকার হিসেবের সাথে।
প্রজাতন্ত্রে প্রজার অধিকার  শীত ঘুমে,
রাজনীতির গোলকধাঁধায় নির্ধারিত স্থান-কাল-পাত্রের জীবন।
বুকের ভেতর পুঞ্জিভুত বেদনা ঘর বাঁধে । 
রাতের আঁধারে ভেসে উঠে তোমার অশ্রুসজল চোখ দুটো,
তুমি হয়ত ঘৃণা করছ আমার এই অপারগতাকে,
কিন্ত সত্যি বলছি, আমি এখনও হারিনি।। 
আঁধার গুহার ওপারেই নাকি আলোর বাসা,
আর আমি  সেই আলোরই সন্ধানে।।



1 টি মন্তব্য:

সুশান্ত কর বলেছেন...

পূর্ব চন্দ্রাণী! 'মারপ্যাছ' শব্দটা একটু দেখো।