“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১২

ত্যাগপত্র ।।

 ( বি অনির্বাণ ধরিত্রীপুত্র বাংলাসাহিত্যের একজন অগ্রগণ্য কবি। অনুবর্তন বলে একটি কাগজের সম্পাদনার সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবল নিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত। তার পরেও যখন এমন কবিতা লেখেন তখন তা নিশ্চয় কোনো গূঢ় বাস্তবতার দিকে ইঙ্গিত করে। সেই কথা ভেবেই মনে হলো এটি সংরক্ষণ যোগ্য এবং আরো বহু পাঠককে পড়ানোর মতো কবিতা । এই নিয়ে একটা ফেসবুক আড্ডা ,যেখানে আমি , দেবাশিস তরফদারও যোগ দিয়েছিলাম , এখানে পড়তে পাবেন হয়তো )

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 ...মূর্খের, পাণ্ডিত্য, সীমাহীন--
ই ত, লিট্‌ল্‌ ম্যাগাজিন,

একালের! --আমাকে পত্রিকা
প্রেরিয়ো না, অয়ি সম্পাদিকা;

ওহে সম্পাদক! --মন-বড়া
নিজেরাই ভাজ’, খাও! --কড়া,

ফুটন্ত, করুক ধ্বনি-- শোঁ-শোঁ!
কারও নাহি অবকাশ, ‘রোসো

বলিবার মত, কেহ নাই--
তবু শ্রেয়, সে-একাকিতাই!

বঙ্গাক্ষরে, অবঙ্গীয় পত্র
পড়িবার চেয়ে! --অন্নসত্র

লুপ্ত যদি, বরং উপাসী
রহিব-- কদন্ন ওই, বাসী--

ভক্ষিব না! --মূর্খের পাণ্ডিত্যে
খর্খরিতে, দিব না, এ-চিত্তে!
   


"বড় দুঃখে, হে লিট্‌ল্‌ ম্যাগ-- 
করিনু সম্পর্ক, বন্ধু, ত্যাগ... ..."

 
ইতি ১৫ই মাঘ, ১৪১৮ ।।

কোন মন্তব্য নেই: