“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ৭ জুন, ২০১২

লেডি লিবার্টি আর তুমি...



তোমার কাছে কিছু চাইনি তো! আকাশ চেয়েছি। যে আকাশে কোন মেঘ নেই। নেই কোন শঙ্কা। তোমার কাছে পৃথিবী চেয়েছি, যে পৃথিবীতে নেই কোন মৃত্যু, তোমার কাছে মাটি চেয়েছি যে মাটিতে নেই কোন দাফন।
লেডি লিবার্টির স্বাধীনতা চেয়েছি, যে স্বাধীনতা দাবি করে আকাশ।
সে দলে আমি ছিলাম না সেদিন।ভাবতে অবাক লাগে আমেরিকানদের স্বাধীনতার রমণী কে ফরাসীরা দু'শ টুকরো করে ভেট দিয়েছিল শ'দুয়েক বাক্সে ভরে! এত্ত সাহস! কুড়ি বছর ধরে দু'শো বাক্সে করে ইমেরিতে করে সেই ফরাসী রমণীর শরীর পৌঁছেছিল আমেরিকায়!
নিউইয়র্কের হারবারে সেদিন ভাগ্যিস ছিলেনা তুমি। লেডি লিবার্টির শরীর আজও সহ্য করে আমেরিকার যাবতীয় অহং। আর তুমি কিনা আমায় প্রত্যাখান করো! এত্তো সাহস আর প্রবঞ্চনা!
চলো হাত ধরি এরপর মিশে যাই ফরাসী চুম্বনে, আমেরিকা দেখবে জ্বলে উঠবে সেদিন, হারাবে যাবতীয় স্বাধীনতা আর অহং ঠিক তোমার মতো।
এসো ভালবাসি এবং আরেকবার একপাতে বসে পান্তা খাই ভাগাভাগি করে। খাওয়া শেষ হলে, শূন্য থালায় আঁকি তোমার শরীরের মানচিত্র অথবা আমেরিকার গণতন্ত্রের ইতিহাসকে।

এসো হাত ধরো, অন্যথায় ভেঙ্গে যাবে স্ট্যাচু অব লিবার্টির তামার মেরুদন্ড। লজ্জা পাবে আবার পৃথিবী এবং তুমি।




কোন মন্তব্য নেই: