“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৪ জুন, ২০১২

ভালবাসার তুকতাক

                           (ত্রিপুরা কবি  সমরজিৎ সিনহা পূর্বোত্তরে সম্মানিত এবং এর বাইরেও বাংলা কবিতা গল্প বিশ্বে সুপরিচিত নাম। কিছু দিন হলো নেটেও এসে হাজির। কিন্তু প্রায়োগিক কারণেই এখনো রোমান হরফেই লিখতে হয়, তাঁকে। একে বাংলা হরফে লিখে পড়ালেন বাংলাদেশের কবি মেঘ অদিতি। তাঁর থেকে নিয়েই  এখানে তুলে দিলাম)



















জ ভোরবেলা কী বিষম দুঃখ এসে
আমাকে ভালবাসার মন্ত্র বলে দিল , আমি জানি না ভালবাসার
তুকতাক হিম -যুগ আগে এরকম ছিল কী না
অনেক বছর আগে কোনো এক সুনীল গাঙ্গুলী
কবিতার পিঠে ছুরি মেরে বলেছিল ,
ভালবাসা ছিল ভালোবাসবার আগে '
আমি জানি না , চিঠির ভাষা কী রকম হলে সেই কিশোরীর
ভালবাসা পার্কের ছায়ায় এক যুগ শব্দহীন বেঁচে থাকে ।
আমি জানি না কেন যে
শরীরের উপমা মন্দির হয় ।
আমি জানি না , ভালবাসার কী রকম তুকতাকে মধ্যরাতে
চুরি হয় কুমারী মেয়ের
সূর্যমুখী প্রেম !
আজ কী বিষম দুঃখ এসে
আমাকে শিখিয়ে দিল , 'বিলি বিলি খান্দা গুলু
বাম চাক দবাং দুলু
হুড়মুড় তা ধিন না উসুখুসু সাকিনা খিনা '
আমি জানি না , ভালবাসার তুকতাক
হিম -যুগ আগে এরকম ছিল কী না !


                                                           (C) ছবি; Picture

কোন মন্তব্য নেই: