“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ২৭ জুন, ২০১২

উদ্ভিজ রেণু

                                     / স্বপন সেনগুপ্ত
















দাঁড়াতে দাঁড়াতে এখন শিখে গেছি উদ্ভিদ সংগীত
সূর্যকে ভাগ করে খাওয়া।

আমার কোনও জুম্মাবার নেই, সব বারই জুম্মাবার।
কুচুটে মেঘ দেখলে মাথা নত করি
আলো ফুটলেই আরশিনগরের গল্প।
এখন ঝুরি নামছে থরথর।
অপলক, থির হয়ে এসেছে চোখ
চামরের লেজ নাড়াতে নাড়াতে আর
বৃষ্টি নামাতে পরি না।
টের পাই, মাটির গভীরে ফুট কাটে
শেকড়ের ছন্দ ও সঙ্গীত।

ঘারে ককুদ নিয়ে খর্রোদে কারা হাঁটছে,
কারা উলোখাগড়া, গন্ধবনিক, কারা চর্যাপদ
থেকে ধার করে এনেছে দাহ্য-ছায়া,
গুহ্য রেণু। দাঁড়াতে দাঁড়াতে এখন শিখে গেছি
উদ্ভিদ স্বভাব, বীজ রেখে যাওয়া।
অনেক বীজ মাটিতে পা-রাখলে অরণ্য--
অনেক বীজ মাথা কুটে কঠিন পাষাণে।

মায়ের তলপেটের দাগমাটির শরীরে
কতো সংকেত চিহ্ন--
একেকটা সোকসংগীত থেকেই জেগে ওঠে উদ্ভিজ রেণু।

                                           (c) Picture: ছবি

কোন মন্তব্য নেই: