“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৩ জুন, ২০১২

একটি মাথুর পদ




তুই বল না কেনে সই,                আমার শ্যাম গেছে কই,
                         বাঁশির ঘায়ে
                                  সে যে আমার
নেয় না লো আর প্রাণ।
আমি ঝাড় ভাসাবো জলে-             রেগে বলেছিলাম বলে
                       বাঁশি কি তার
                                করেছে লো
                                      এতো অভিমান!

হলো সূর্য ডুবে সাঁঝ                  তারে না পেলে পর আজ
আমি               মানব না লো
রাত বিরেত
ফিরব নালো ঘরে;
ধরে বুঝি
নিয়েই গেল
কংস রাজার চরে!

ছুটে বৃন্দাবনে আর                    গেছি যমুনা নদীর পার
শ্রীদাম সুদাম
কেন যে আজ
কেউ ছিল না গোঠে
ঘাটে কলস জলে কেউ                   বসে গুনছিল না ঢেউ

পারাপারের
নাও ছিল না
মাঝি গেছে ওঠে

চেয়ে কদম তলায় দেখ             সারা কুঞ্জবনে মেঘ
যেন                  চাঁদ এসেছে
রাধার মতো
হারিয়ে ফেলে আলো
ফিরল না যে
এখনো
পাখি আমার কালো?!


(কালো সখির মুখ ঢেকেছে           এই হয়েছে  ভালো।)

                                (c)Picture:ছবি

কোন মন্তব্য নেই: