“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১২

নদী । এই একটি প্রবহমানতা সমুদ্রগামী ।...............।

 (কিছু কিছু কবি ইচ্ছে করলেই নিজেরা লিখতে পারেন, লিখবেন না আলস্যবশত।  থুক্কু, তাঁরা ফেসবুকে লিখে রাখবেন। যে ফেসবুক আসলে একটি কোম্পানী  ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর মতো। আজ আছে কাল নেই। অন্যদিকে ব্লগ এক ব্যবস্থার নাম। এখানে সংরক্ষিত থাকে, সার্চ  ইঞ্জিনে মেলে  তাড়াতাড়ি । তেমনি এক ফেসবুক নোট লেখক কবি পল্লব ভট্টাচার্য ।  তিনি কেমন শ্রম করেন ফেসবুকে তাঁর একটি নমুনা দিলাম নিচে ,  আশা করছি এরপর  এঁনার  নিজের এবং পরের সমস্ত শ্রম এখানে তুলে দেবার জন্যে গণ দাবী উঠবে।  যাদের কবিতা এখানে রইল তাঁরা সব্বাই ত্রিপুরা রাজ্যের পাহাড়ি ফুল, বিশ্বময়  সুবাস ছড়ান।) 

পল্লব ভট্টাচার্য

নদী । এই একটি প্রবহমানতা সমুদ্রগামী । অস্তিত্বকে অস্তিত্বহীনতায় পৌছে দিতে । ভাসতে থাকে শুধু নৌকাটি ।

…………………………………………………………………
নলিনী দলগত জলমতিতরলং  তদ্বজ্জীবনমতিশয় চপলম্ ।
ক্ষণমিহ সজ্জনসঙ্গাতিরেকা ভবতি ভবার্ণবতরণে নৌকা ।।

…………………………………………………………………………………………………

সমরজিৎ সিংহ

আকাশছায়া

মাকে , মনে হয় , ঐ আকাশছায়া । দিন শেষ হলে
ডেকে ওঠে জ্যোৎস্নাপাখি
শুরু হয় গাছেদের কথাবার্তা
আর একটি নদীর কথা এসে পড়ে প্রাসঙ্গিকতায়
ঐ নদীর জলে একটি নৌকাকে আমি
ভেসে যেতে দেখেছি অনেকদিন

মা যাবার পর , ঐ আকাশছায়া আর নেই
রাত এলে আমি , প্রতিদিন খুঁজে বেড়াই নদী ও জ্যোৎস্না

……………………………………………………………………………………………………


অশোক দেব

উৎসর্গ

শুনেছি জ্যোৎস্না রাতে
একটি গোপন নৌকা ঘাটে ঘাটে ঘোরে

বহুকাল এই গ্রামে থেকে আমি দেখিনি
শুধু শুধু নদীর নামে রটিয়েছি অপবাদ

আজ মনে হয় সব ঘাটই রাতে রাতে
মিশে যায় জলে
নদী আর নৌকাতে চলে অভিমান ।

…………………………………………………………………………………………………

প্রবুদ্ধ সুন্দর কর

অম্বুবাচী

একটি কলকল নদীর কাছে একটি কথা মনে হলো

পাগলা আশ্রম থেকে বেরিয়েছে মাটির নিয়ামক স্রাব , এতো কল্লোল

মাটির অতীতচুমু  যৌনচিহ্ন নিয়ে বিরহচুপ্ নিষিদ্ধ নাঙ্গলবর্ষ
মাটির বিছানায় শুয়ে আছে নিয়ামক রমনী , পাশে আমি নিষিদ্ধ পুরুষ

অনন্ত ৩ দিনরাত একাকী ভালোবাসার নক্ষত্র  আকাশ

চারপাশে তানপুরাবৎসল ফসলের রিন্ ঝিন্ রিন্ ঝিন্

…………………………………………………………………………………………………………

স্বাতী ইন্দু

সামুদ্রিক

সমুদ্রের মধ্যে ডুইব্যা যে মানুষ
যে মানুষ প্রলয় ছাড়া আর কিছু
চিহ্নিত করে না --- ভাবে  না রৌদ্রের রঙ
ভাইঙ্গ্যা গেলে অন্ধকার আসে
আসে--আসে হে প্রিয়তম অন্ধকার--
আর কোন গল্পের প্রয়োজন নাই
নাই কোন গাঁথুনির  নিরেট উচ্ছাস
ভাষা ছাইড়া যে মানুষ রক্তে কথা কয়
বিষন্ন কোষের ঠোঁটে ঠোঁটে
প্রথম প্লাজমের সে মানুষ --নির্দয়তা
তাকে কষ্ট তুমি কি ভাবে দিতে চাও ?

কোন মন্তব্য নেই: