“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১২

ভাঙল যখন দুপুর বেলার ঘুম







।।অশোক বিজয় রাহা।।

















ভাঙল যখন দুপুর বেলার ঘুম
পাহাড় দেশের চারদিক নিঃঝুম,
বিকেল বেলার সোনালি রোদ হাসে
গাছে পাতায় ঘাসে।

হঠাৎ শুনি ছোট্ট একটি শিস,
কানের কাছে কে করে ফিসফিস?
চমকে উঠে ঘাড় ফিরায়ে দেখি,
এ কী!

পাশেই আমার জানালাটাতে পরীর শিশু দু’টি
শিরীষগাছের ডালের ’পরে করছে ছুটো ছুটি।

অবাক কাণ্ড –আরে!
চারটি চোখের ঝিলিক খেলে একটু পাতার আড়ে!
তুলতুলে গাল, টুকটুকে ঠোঁট, খুশির টুকরো দু’টি
পিঠের ’পরে পাখার লুটোপুটি,
একটু পরেই কানাকানি, একটু পরেই হাসি—
কচি পাতার বাঁশি—
একটু পরেই পাতার ভিড়ে ধরছে মুঠি-মুঠি
রাংতা –আলোর বুটি।


এমন সময় কানে এলো পিটুল পাখির ডাক,
একটু গেল ফাঁক,--
এক ঝলকে আরেক আকাশ চিড় খেয়ে যায় মনে
আরেক দিনের বনে,--
তা’রি ফাঁকে পাতলা রোদের পর্দাটুকু ফুঁড়ে
এরাও গেল উড়ে,
রইল প’ড়ে ঝরা-পাতা, রইল প’ড়ে ঢালু
পাহাড়-ধসা লাল গুহাটার হাঁ-করা ঐ তালু।
--- --- ---

কোন মন্তব্য নেই: