“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৫ আগস্ট, ২০১২

অগ্নিগড়





           ।। হেমাঙ্গ বিশ্বাস।।













সেছে খবর
অগ্নিগর্ভ নগরের দুরন্ত হাপর
দিকে দিকে ছুঁড়ে দিল জ্বলন্ত অঙ্গার,
অনির্বাণ, ক্ষিপ্ত, দুর্নিবার।

এ অঙ্গারে সিমান্তের পাটকৈ পাহাড়ে
শাল সেগুনের বনে লাগে দাবানল
এ আগুনে জ্বলে ওঠে হিমগলা লুইতের জল।
এ অঙ্গারে ডিগবয়ের ভূগর্ভের তেলে
বাষ্প হয় জমা।
চা-মজুর ঝুমরুর কাঁধে ঝুমুর –মাদল
এ আগুনে তেতে আজ হলো যে দামামা।
তিতাবরে এ অঙ্গারে জ্বলে ওঠে ধানের মঞ্জরী
অগ্নি সীমন্তিনী যত কৃষক ঝিয়ারি।
জঙ্গি বেলতলা দেখি
এ আগুনে কাস্তে দেয় শান,
নগাঁও নগর পথে ফেটে পড়ে স্ফুলিঙ্গ স্লোগান।
তীক্ষ্ণ হয় নাজিরার লাঙলের ফাল।
খেত মজুর ক্ষেত্রীর উদ্যত কোদাল।

এ আগুনে ঝলসানো নাগার বল্লম,
বাঘকাটা দা,
দুর্ধর্ষ কুকিরা টানে বিষমাখা তিরে
ধনুকের জ্যা।
বৈষ্ণবী লালিত্যে ভেজা মণিপুরী খোল।
এ উত্তাপে ধ্রিমতাতা তোলে রুদ্র বোল।
দীপ্তপত্র জ্বলে লাল বিহুর বিরিঙা
বৈশাখী পেঁপাটি দেখি হল রণশিঙা।
 এ অঙ্গারে জ্বলে আজ আমার কবিতা।
 নতুন জীবন বেদ, প্রাণের সংহিতা।

কোন মন্তব্য নেই: