“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

মাটি, লবণ ও কবিতা


(আমার বন্ধু, কবি, সাংবাদিক আপন মাহমুদ কে... আপাতত তার দেশের নাম আমি জানিনা।প্রয়াত কথাটাও তাই লিখলাম না। কারন আপন'দের মৃত্যু হয়না কোনদিন। আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি মৃত্যু প্রতিদিন নতুন জন্মের ইন্ধন দেয়। মাটি বাঁচতে দেয়, বসতি গড়তে দেয়, খাদ্য দেয় তাই মাটির ভুবনে মৃত্যু শব্দের কোন অস্তিত্ব নেই। তাই এই মাটি, আমি, আমরা যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন আপন বেঁচে থাকবে। বন্ধুদের অভিযোগ করতে নেই, তাই অভিযোগ করলাম না শুধু জানতে চাইছি কেমন আছো তুমি...)




 নুন মাটির দেশে শুধু অন্ধকার। একা বড্ড ভয় লাগে আমার।

আমার ডেস্কে ডেটলাইন, বলপেনে বিষয় মৃত্যু
আর তুমি ভালবাসা। সাদা কাগজ

শরীর আমার হিম ঠান্ডা, কোন বিদ্রোহ করার শক্তি আপাতত আমার নেই।
তাহলে হয়তো মৃত্যু সভ্যতার একটা নিখুঁত কপি শেষবার তোমায় দিয়ে যেতে পারতাম বন্ধু।

একটু একটু করে মিশে যাচ্ছে আমার শরীর মাটির সাথে
যেভাবে মিশে গিয়েছিলাম
তোমার শরীরে
একবার
শেষবার
বহুবার।

আমার মৃত্যু, তুমি, কবর
মাটি, লবণ, কবিতার বই
খিদে, স্বপ্ন এবং মাতৃগর্ভ
সব বেঁচে আছে।


তুমিও বেঁচে আছো
পৃথিবী বেঁচে আছে
বেঁচে আছি বন্ধু জীবাশ্ম হয়ে

আমার নিহত কোষ থেকেই আবার জন্ম নেবে
কোন শিশু, কোন নতুন কবিতা বা প্রিয় বকুল বাগান।

                        (c) Picture:ছবি

কোন মন্তব্য নেই: