“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১২

ঘুমিয়ে থেকো


চাঁদ দেখা বারণ আমার। তাই আজকাল চুরি করেই দেখি চাঁদের আলো।
চাঁদ দেখার চেয়ে ঢের ভালো হলুদ প্রজাপতি বা হিমেল ঘাসেদের চুমু খাওয়া।
চুরি আমি করবোই, পারলে আটকে রেখো। বেশী সুন্দরী হলে সাবধানে থাকাই ভালো!
 
যেমন থাকে চাঁদ। অনেকদূরের আকাশে সাবধানে একাকী।
সবাই বলে চাঁদের কলঙ্ক, আমি বলি চাঁদের কপালে লাল চন্দনের প্রলেপ। যেমন নতুন বৌঠানের কপালে ছিল বিয়ের রাতে।

তোমায় নীরা হতে বলিনি তো! বলিনি বৌঠানের মতো আত্মহত্যা করো।

আমার সহ্য হয়না তোমারই ঐ রূপ, তাই তো ভালবেসে ফেলি অজান্তেই বারবার।
যেমন ভালোবাসে কুয়াশারা সকালের শিউলিকে। অথবা সবুজ ঘাসেদের হৃদয়কে। চলো কোন এক সকালে তোমায় আকাশ থেকে ঝড়ে পড়া কুয়াশায় স্নান করিয়ে দেই।

শেষ দুদিন লিখতে পারিনি। লিখতে পারলে তোমাকেও আমার সাথে কড়া নাড়তে হতো মৃত্যুপুরীর।
হয়তো বেঁচে যেত বৌঠান। অথবা চাঁদ বেছে নিতো আত্মহত্যার পথ!

আমায় পথ দেখিয়েছে হাজার হাজার আলোকবর্তিকা তোমার ঘরে উঁকি দেয়ার। এরপর চোর হওয়ার সাধও আমার গেছে।
মনে হয়েছিল এতো অহংকারী শরীর ঘুমিয়ে থাকে কী করে!

তুমি ঘুমোলে তো পৃথিবী জড়বৎ হয়ে যায়, আকাশ হাসে না, বৃষ্টি থেমে যায়, পাহাড় শান্ত হয়ে যায়, নদীর দিক পাল্টে যায়।
আবার মনে হয়েছিল, ঘুমিয়ে আছো বলেই বেঁচে গেলাম আমি অথবা এই বঙ্গোপসাগর।

আগুনের কাছে বন্ধক রেখে এসেছি তোমায় পবিত্র করতে , প্রতিমুহূর্তের সুদ আমায় নিঃস্ব করে প্রতিদিন। আর সেই আগুন তোমার কপালে টিপ হয়ে ভয় দেখায় আমায়! দখল নিয়েছে অজান্তেই।
আমি কয়লা হই।
চুরি আমি করবোই। পারলে রুখে দিয়ো।
তুমি চুপ থাকলেই আমার ইচ্ছে করে অবাধ্য হতে। আবার আরেকটা অপরাধ করতে। তোমায় ভালবাসতে।
বলেছিলাম তো...

চাঁদের আলো তবুও আমাকে ছুঁয়েই যায়, জানি ভাঙ্গনের রাতে বড় নির্দয় তুমি, তবে হৃদয়হীনা তুমি নও।  তাই ভালবাসবোই।

তবুও আমার জন্য নিষিদ্ধ ঐ চাঁদ, তুমি এবং তোমার হিমেল রাত।

কোন মন্তব্য নেই: