“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১২

আমার সিজোফ্রেনিক মগজ





















হৃদয় গবেষণাগারে মগজ নিংড়ে প্রতিভা সন্ধানি পন্ডশ্রম
টান-টান সদাজাগ্রত স্নায়ুর এবার বিগড়ে যাবার উপক্রম।
কালি-কলমের বোধাতীত মর্মজাদু তোমার ঘ্রাণে মিয়োনো
সাত চড়ে রা কাড়ে না-এমন বেকুব কে ব্যর্থ যে ঘাঁটানো!
চালচুলো নেই সবাই ভাবে কবিতা লিখে করিতকর্মা
পাঠ নিইনি মূর্খ আসলে,শেখাতে পারতেন বিষ্ণু শর্মা।
একাকী ঝিমোচ্ছি,তেতো দিনের সব খবরই বিকট স্বাদের
কিছুই নেই যাঁদের,তারা পরোয়া করেনা সভ্য ছিরিছাঁদের।
কাঁচা হলদের গন্ধ লাগা হেঁসেলে ঘাম-ঘাম ভালোবাসার ভয়
ঘুম পাড়িয়ে নৈঃশব্দ্যকে তারা-খসা রাত পোয়াতি হয়।

বৃষ্টি এসে ধুয়ে ফেলুক সবার দগ্ধ যাতনার উল্কিছবি
ব্যাথার জড়ুলে হাত রেখে ঘুমোবে প্রত্নপ্রস্তরের কবি।

২টি মন্তব্য:

নামহীন বলেছেন...

এই কবিতা পোস্ট করার পরের দিন-ই শিলচর শহর "নভেম্বর রেন"-এর মুখোখুখি হল। এটা মির‍্যাকল না মীরাক্কেল !!!

সুশান্ত কর বলেছেন...

দারুণতো! এটা মীরাক্কেল-ই হবে!