“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২২ জানুয়ারী, ২০১৩

তিনসুকিয়াতে হেমাঙ্গ বিশ্বাস জন্ম শতবর্ষ উদযাপিত হলো

'সমৰ কৃষক-বনুৱা, হালোৱা-হজুৱা তথা গণ-জীবণৰ মুক্তিৰ স্বার্থত সমৃদ্ধিশালী দিশেৰে মাতৃভূমিক আগুৱাই নিবলৈ হ'লে, নৱ-প্রজন্মই হেমাঙ্গ বিশ্বাসৰ লিখনি তথা অসমৰ সাংস্কৃতিক ইতিহাস অনুসন্ধিৎসা-সহকাৰে যথেষ্ট অধ্যয়ন কৰিব লাগিব; কাৰণ বহু ৰাজনীতিক, বহু ডিগ্রীধাৰী লোকতকৈ অসমক আৰু অসমৰ মাটিৰ কৃষ্টি সংস্কতিক গণ-সংস্কৃতিলৈ উত্তৰণ ঘটাই তাক ৰাষ্ট্রীয় মঞ্চ আৰু বিশ্বৰ দৰবাৰত মর্যাদা সহকাৰে প্রতিষ্ঠা কৰোতা হেমাঙ্গ বিশ্বাসৰ আদর্শ তেতিয়া যিমান প্রাসঙ্গিক আজিও একেদৰেই প্রাসঙ্গিক।'--যোৱা ২০ জানুৱাৰীত তিনিচুকীয়াৰ বিষ্ণুজ্যোতি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ত দিনজোৰা কার্যসূচী উপলক্ষে , সাংবাদিক অমূল্য খাটনিয়াৰৰ সঞ্চালনাত অনুষ্ঠিত এক মনোজ্ঞ আলোচনা চক্রত এই ভাষ্য দাঙি ধৰে হেমাঙ্গ বিশ্বাসৰ নিবিড় সান্নিধ্য লাভ কৰা গণনাট্য কর্মী, প্রগতীশীল লেখক শৰৎ চন্দ্র নেওগে। 'সাম্প্রতিক সময়ত হেমাঙ্গ বিশ্বাসৰ আদর্শৰ প্রাসঙ্গিকতা' শীর্ষক আলোচনা চক্রত অন্যতম আলোচক তিনিচুকীয়া জিলা সাহিত্য সভাৰ নৱ-নির্বাচিত সভাপতি তথা শিশু সাহিত্যিক, নাট্যকাৰ কবি হৰেন্দ্রনাথ বৰঠাকুৰে লোক-সংস্কৃতি আৰু গণ-সংস্কৃতি সম্পর্কে সৰস আলোচনা আগবঢ়ায়। আলোচনাৰ বিষয়বস্তু উপস্থাপন কৰে ড০ অপূর্ব ভাস্কৰ গগৈয়ে আৰু হেমাঙ্গ বিশ্বাসৰ জীবনী লেখক ফটিক বৰাই তেখেতৰ অনুভৱত, হেমাঙ্গ বিশ্বাসক সততে মনত ৰাখিবলৈ গণশিল্পীগৰাকীৰ নামত অসমত কোনো ভৱন আদিৰ নামকৰণ কৰাটো প্রয়োজন বুলি মত আগ বঢ়ায়। অনুষ্ঠানত স্থানীয় চেমনীয়া স্বভাৱ শিল্পী ৰাহুল সণোৱালৰ আকর্ষণীয় ঢোলবাদন আৰু বিভিন্নজনৰ  গীত-মাত কবিতা আবৃত্তিয়ে অনুষ্ঠানৰ সৌষ্ঠব বৃদ্ধি কৰে। উক্ত কার্যসূচী উপলক্ষে তিনিচুকীয়া আঞ্চলিক ছাত্র সন্থাৰ পৃষ্ঠপোষকতাত আৰু পূর্ণানন্দ বৰুৱাৰ সম্পাদনাত প্রকাশিত 'জালালী কইতৰ' নামেৰে এখনি গ্রন্থ হৰেন্দ্র নাথ বৰঠাকুৰে উন্মোচন কৰে। আগবেলা ছাত্র-ছাত্রীৰ মাজত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আৰু এখনি নান্দনিক দৃশ্যশিল্পৰ প্রতিযোগিতামূলক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত কৰা হয়। 
                                        ইতি
                                 পূর্ণ কাকতি
সম্পাদক, হেমাঙ্গ বিশ্বাস জন্ম শতবর্ষ উদযাপন সমিতি, তিনিচুকীয়া ।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

**********************************************************************

      অসমের  মজুর-কৃষক  তথা গণ-জীবনের মুক্তির জন্যে  সমৃদ্ধির দিকে  মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে,  নৱ-প্রজন্মকে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের লেখালেখি  তথা অসমের  সাংস্কৃতিক ইতিহাস অনুসন্ধিৎসা নিয়ে প্রচুর  অধ্যয়ন করতে হবে; কারণ বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তথা বহু ডিগ্রীধারী লোকের থেকে  অসমকে এবং এখানকার  মাটির কৃষ্টি সংস্কতিকে গণ-সংস্কৃতিতে উত্তরণ ঘটিয়ে সেগুলোকে জাতীয় আন্তর্জাতিক স্তরে  সমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন হেমাঙ্গ বিশ্বাস। তাঁর  আদর্শ তখন যতটা  প্রাসঙ্গিক আজও একইরকম প্রাসঙ্গিক।'--গেল ২০ জানুয়ারিতে তিনসুকিয়ার  বিষ্ণুজ্যোতি সঙ্গীত মহাবিদ্যালয়ে দিনজোড়া কার্যসূচী উপলক্ষে , সাংবাদিক অমূল্য খাটনিয়ারের  সঞ্চালনাতে অনুষ্ঠিত এক মনোজ্ঞ আলোচনা চক্রে এই ভাষ্য তুলে ধরেন  হেমাঙ্গ বিশ্বাসের  এককালের সহকর্মী গণনাট্য কর্মী, প্রগতীশীল লেখক শরৎ চন্দ্র নেওগ। 'সাম্প্রতিক সময়ে হেমাঙ্গ বিশ্বাসের  আদর্শের প্রাসঙ্গিকতা' শীর্ষক আলোচনা চক্রে অন্যতম আলোচক তিনসুকীয়া  জলা সাহিত্য সভার নব-নির্বাচিত সভাপতি তথা শিশু সাহিত্যিক, নাট্যকার কবি হরেন্দ্রনাথ বরঠাকুর লোক-সংস্কৃতি এবং গণ-সংস্কৃতি সম্পর্কে সরস আলোচনা করেন। আলোচনার বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন ড০ অপূর্ব ভাস্কৰ গগৈ এবং   হেমাঙ্গ বিশ্বাসের অসমিয়া জীবনী লেখক ফটিক বরা তাঁর  অনুভবে হেমাঙ্গ বিশ্বাসকে  সদা স্মরণে রাখবার জন্যে তাঁর নামে  অসমে  কোনো ভবন ইত্যাদির  নামকরণ করা দরকার বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ।  স্থানীয় শিশু স্বভাব শিল্পী রাহুল সণোয়ালের আকর্ষণীয় ঢোলবাদ্য এবং অন্য অনেকের গান-আবৃত্তি পুরো অনুষ্ঠানের  সৌষ্ঠব বৃদ্ধি করে। এই কর্মসূচী  উপলক্ষে তিনসুকিয়া আঞ্চলিক ছাত্র সন্থার পৃষ্ঠপোষকতাতে এবং  পূর্ণানন্দ বরুয়ার  সম্পাদনাতে  'জালালী কইতৰ' নামে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।  গ্রন্থটি উন্মোচন করেন হরেন্দ্র নাথ বরঠাকুর । সকাল বেলা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে  কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা এবং একটি  নান্দনিক দৃশ্যশিল্পের  প্রতিযোগিতামূলক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত  হয়। 

                                        ইতি
                                 পূর্ণ কাকতি
সম্পাদক, হেমাঙ্গ বিশ্বাস জন্ম শতবর্ষ উদযাপন সমিতি, তিনসুকিয়া।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ 
আবৃত্তি আৰু দৃশ্যশিল্প প্রতিযোগিতাৰ বিজয়ীসকলৰ নামৰ তালিকা                             

**********************************************************************
পূর্ণানন্দ বৰুৱাৰ সম্পাদনাত প্রকাশিত 'জালালী কইতৰ'                                          
                       
 ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
এখানে গোটা অনুষ্ঠানের ছবিগুলো একেএকে দেখতে পাবেন।                           


ঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁঁ
এখানে কিছু বাছাই করা ভিডিও দেখতে পাবেন,                                                  
এর মধ্যে দুই আবৃত্তি প্রতিযোগী শিশুর ভিডিও রয়েছে                                         

কোন মন্তব্য নেই: