“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১৩

পাখির চোখে কুয়ালালামপুর

০ ডিসেম্বর, ২০১২। কোলকাতা নেতাজী সুভাসচন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে  ইমিগ্রেসন এবং যাবতীয় চেক হয়ে যাওয়ার পর বিমান ছাড়ার অপেক্ষায় বসে সময় গুনছিলাম। ওয়েটিং লাঊণজে পাশের সিটে বসা এক তরুণী। হাতে মেরুন-রঙের পাসপোর্ট দেখে বুঝা গেলো উনি ভারতীয় নন। চেহারা ছবি অনুযায়ী আমাদের সাত বোনের দেশ মণিপুরি মহিলাদের মতই। বাক্য-বিনিময় করে জানা গেলো, ঐ শ্রীমতি কুয়ালালামপুরের বাসিন্দা। এদেশে বেড়াতে এসেছিলেন। কুড়ি দিন পর দেশে ফেরত যাচ্ছেন। দিল্লি, মুম্বাই ইতিমধ্যে ঘুরে এসেছেন, শেষের পাঁচ দিন কোলকাতা থাকার পর, এবার বেক টু স্বদেশ। আর পাঁচটা কথার পর জিগ্যেস করলাম, আপনার দেশে স্থানীয় সুস্বাদু খাবার কোনটা?

সু-তন্বীর উত্তর, ‘নাসি-লেমাক’ (Nassi-Lemak)।
আমাদের দেশে তো রিফাইন তেলে ভাত সেঁকে নিলেই ফ্রাইড রাইস হয়ে যায়, তেমনটা নয়, নারকেল তেলে ভাত সেদ্ধ করে এটা বানানো হয়। মালাই ভাষাতে ‘নাসি’ শব্দের অর্থ ‘ভাত’।
       একুশ ডিসেম্বর।  যে কনফারেন্স-এ এসেছি, সেটা শুরু হবে পরদিন থেকে। অর্থাৎ আগের দিন, নিজের গাঁটের কড়ি ভেঙেই লাঞ্চ, ডিনার। দুপুরের খাওয়া ঐ চার-তারা হোটেলেই। মেনু কার্ডে দেখলাম রয়েছে ঐ ‘নাসি-লেমাক’। দাম ১৮ রিঙ্গিত । ১৭ টাকা ৮০ পয়সা দিয়ে মনে মনে গুন করলাম। মোটা-মোটি ৩২০-৩২৫ টাকা। অর্ডার করলাম। যথামাফিক ডিশ আসলো। দেখে সেই বাসি-বিয়ের দিনের বাটি-তে চাপ-দিয়ে বসানো ভাত উল্টিয়ে থালে দেওয়ার কথা মনে হল। তবে এ ভাতে নারকেল এর মৃদু গন্ধ। সঙ্গে বাদাম আর আমাদের ‘ভুজিয়া মাছ’-এর মত একটা ছোট মাছ একেবারে কড়-কড় করে ভাজা। দেখতে এবং খেতে অনেকটা চানাচুর এর স্বাদ। সঙ্গে আরও রয়েছে টুকরো মুরগি-ভাজা, সেদ্ধ-ডিম অর্ধেক করে কাটা আর ‘কড়া’ স্বাদের চাটনি। খারাপ লাগলো না। সেদেশে গেলে, আপনারাও চেখে দেখতে পারেন...।

      
    বাইশ ডিসেম্বর। কনফারেন্স এর প্রথম দিন। বস্তুতঃ নাম নথি-করণ ছাড়া সেদিন কোনও কাজ ছিল না। অন্ধ্র প্রদেশ থেকে আরও দুজন এসেছেন। রথ দেখা কলা বেচার মত ওদেরও এই কনফারেন্সের অছিলায় কুয়ালালামপুর জায়গাটাকে চেখে নেওয়ার ইচ্ছা। বেলা এগারটা নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম তিনজন। আমাদের সময়ে, সকাল সাড়ে আটটা।
          যে হোটেল-টা কনফারেন্সের ভেনু, আমাদের সাময়িক নিবাস সেখানেই। বিমান বন্দরের একেবারে কাছাকাছি হলেও মূল শহর থেকে প্রায় পঞ্চাশ কিলো মিটার। মানে এই শিলচর–করিমগঞ্জ দূরত্ব। যেতে লাগল মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট। মনে মনে ঈর্ষা হয়!  তবে সবগুলো বাস-ই বাতানুকূল। তাই ভাড়া-টাও আমার কাছে একটু বেশি লাগছিলো। ১০ রিঙ্গিত। মানে আমাদের ১৭৮-১৮০টাকা। বাগদাদ থেকে অধ্যাপক জাব্বোর আল মাহদিদ এসেছেন কনফারেন্সে। আগের দিন ‘লিমোজিন’ দিয়ে শহর ঘুরে এসেছেন। সেটা আমার জানা ছিল না। আমরা বাস দিয়ে শহরে গেছি, সন্ধ্যায় ফিরে সেটা উনাকে বললাম না, বলেছি শুধু এখান থেকে শহরে যাওয়ার ভাড়াটা একটু বেশি। ভদ্রলোক প্রতিবাদে গর্জে উঠলেন।
      
নো-ও-ও-ও-ও । ভেরি চিপ। ‘ইয়েসটারডে দে টুক অনলি ৩৪০ রিঙ্গিত’।ভাবলাম ছ’হাজারেরও বেশি। শুধু শহর ঘোরার জন্যই! বাপরে! তেলের দেশের অধ্যাপক বলে কথা! আমি আর কথা বাড়ালাম না। সাহসও হলো না। বাসে চেপে বিমানবন্দর চত্বর থেকে শহরের দিকে যাচ্ছি। একটু পর পাশের সিটে বসা লোকটার একটা ফোন আসলো। কথা বলছে। তবে অনেক কষ্ট করে বুঝা গেলো যে সেটা বাংলা। যাকগে। সোজা-সাপ্টা জিগ্যেস করলাম, বাড়ি কোথায়?
-কুমিল্লা, বাংলাদেশ।
 -কী কাজ করেন?
-মিস্ত্রি, সিমেন্টের কাজ করি।
-নাম?
- ইফতাব আলি
-এদেশে কতদিন ধরে আছেন?
- এই ১০-১১ বছর। আমার উস্তাদ-ই এখানে নিয়ে এসেছেন।
-তা মোটামুটি মাসে রোজগার ?
-এই ধরুন,  ৮০০ থেকে ১০০০ রিঙ্গিত। মানে আমাদের বাংলাদেশের  হিসেবে  আঠারো থেকে কুড়ি হাজার টাকা।
-আচ্ছা, এতদিন ধরে যে এদেশে রয়েছেন, তো আপনার পরিবার?
-দেশেই রয়েছে, ৪-৫ বছরে একবার যাই।
-আর এখানের ভিসা কতদিনের?
-আমাদের তো ওয়ার্কিং ভিসা। প্রথমে এক বছরের দেয়। পরে তা বছর বছর এমব্যাসি তে গিয়ে রিনিউ করতে হয়। উস্তাদ-ই তা করে দেয়।
-আচ্ছা, ধর্মের দিক দিয়ে তো কোনও বাধ্য বাধকতা নেই, এরা–আপনারা একই। তাই জিগ্যেস করছিলাম, দুটো জাতের মধ্যে বিয়ে-সাদি চলে?
-আকছার হয়। ছেলে পুলেও হয়। ছেলে পুলেরা এদেশের নাগরিকত্ব পেলেও ওদের বাবা আই সি পায় না।
-আই সি মানে?
 
-‘Identity Card’। বিষয় সম্পত্তি সব বউ-এর নামেই থাকে, ছেলে-পুলেও বউ-এর  প্রাপ্য সব ফায়দা-সুযোগ পায়,  কিন্তু ঐ ‘বাবা’ কিচ্ছু স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি করতে পারবে না নিজের নামে।
-বললাম, দারুণ। যেটা আমাদের দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে এতদিনে হয়ে ওঠে নি, সেটাই ওদেশের প্রচলিত নিয়ম।
        যাকগে, লাখ দুয়েক বঙ্গ-ভাষী লোকেরা রয়েছেন সেদেশে, ধর্মের দিক দিয়ে বেশির ভাগই মুসলমান, তবে, হিন্দুরাও রয়েছেন। সুজন চক্রবর্তী নামের আরেক জনকে একই ভাবে অন্য দিন বাসে পেয়েছিলাম, বলেছিলেন, ‘দেওয়ালি’ এখানে কিছুটা টের পাওয়া গেলেও ‘দুর্গা-পুজার দিনগুলো আর পাঁচটা দিনের মতই কাজ করে কাটে। পূজা-টুজা টের পাই না।
     শহরের যেখানটায় সব বাস গুলোর সিন্ডিকেট, তার নাম কে এল সেন্ট্রাল। (কে এল কুয়ালালামপুরের সংক্ষিপ্ত নাম)। ইংরাজিতে ওরা লেখে KL SENTRAL । C-র প্রচলন খুবই কম;  সে জায়গাটা S দখল করে নিয়েছে।  ঐ কে-এল সেন্ট্রাল থেকে মনো-রেল  বা LRT  (Light Rail Transit) এবং KTM Komuter ট্রেন, দুরকম ট্রেন-ই পাওয়া যায়। দুটোই  অনেকটা দিল্লি-কলকাতার মেট্রো-র মত। তবে KTM চালক-বিহীন,  মাটি থেকে প্রায় ১০-১২ ফুট ওপরে কংক্রিটের লাইন, তার ওপর দিয়ে চলে। LRT তে টিকিট নেওয়ার পথ দিল্লি-কলকাতার মেট্রো থেকে অনেকটা ভিন্ন। সারি করে ফিঙ্গার টাচ কম্পুটারগুলো রাখা। আঙ্গুল লাগালেই পুরো নেট-ওয়ার্কের ম্যাপ মনিটর-এ চলে আসে। এবার, আপনার গন্তব্যস্থল ছুঁলেই টিকিটের দাম ভেসে উঠবে।  ধরুন ৫.৮০ রিঙ্গিত।  এবার একদিকে নোট ঢোকান, অন্যদিকে খুচরো পয়সা। ৫.৮০-র জায়গায় ৬ রিঙ্গিত দিতে চাইলে মেসিন তা নেবে না। পুরোপুরি মাপমতো টাকা পেলেই প্লাস্টিকের গোল টিকিট বেরিয়ে আসবে। বলাবাহুল্য, খুচরার আকাল নেই। আর আমাদের অবশ্য, তা নিয়ে  দুশ্চিন্তা করেও লাভ নেই। LRT  কিম্বা KRT, কোনটাই বরাক উপত্যকায় আগামী পাঁচ হাজার বছরে হবে কি না! BGT–ই (Broad Gauge Train) যে আমাদের কাছে আজও অধঃরা! নয় কি?
 
 শহরের যে জায়গাটা একদম প্রথম আকর্ষণ, সেটাই প্রথম দেখতে গেলাম। ‘পেট্রোনাজ টুইন টাওয়ার’। এই টুইন টাওয়ারই কুয়ালালামপুরের অন্যতম আকর্ষণ। টাওয়ারের নিচের ৬-৭ তলা জুড়ে রয়েছে সপিং মল, বাজার, ব্যাংক, KFC এবং এ জাতীয় অনেক ফাস্ট-ফুডের দোকান এবং অন্যান্য জরুরী সেবা কেন্দ্র। মূল প্রবেশ দ্বারে টাওয়ারের শিখরে যাওয়ার মুল্য তালিকা রয়েছে। ৮০ রিঙ্গিত। তবে যথারীতি অনেক বিধি নিষেধ আর নিয়মাবলী রয়েছে।
      পেট্রোনাজ  টাওয়ার থেকে মনো-রেল (LRT) দিয়ে চলে এলাম ‘মসজিদ ইন্ডিয়া’- তে। ওদের ভাষায় ‘মাজ্জে জামেক’। সেই সুদুর কোন অতীতে দক্ষিণ ভারতীয় মুসলমানেরা সেখানে গিয়ে মসজিদ স্থাপন করেছিলেন। দুপুর হয়ে গেছিলো। মসজিদের প্রবেশ-দ্বার বন্ধ। সামনের বিস্তর জায়গা জুড়ে পসরা সাজিয়ে দোকানিরা রয়েছে। কেনা কাটা চলছে ধুমধাম। বেশির ভাগই মহিলা। আসলে পুরুষ- মহিলা অনুযায়ী কাজের কোনো বিভাজন নেই সেদেশে। বাসের হাণ্ডিমেন, কন্ডাক্টার বেশির ভাগই মহিলা। ভোর  পাচটা  থেকে রাত এগারোটা অবধি মহিলা কন্ডাক্টার কাজ করেন। ইসলামি দেশ, কিন্তু চিন্তনে-মননে অনেকটাই পশ্চিমি। আমাদের দেশ হলে তো রোজ পঞ্চাশ-একশোটা করে ‘বর্ণালী’, ‘আমানত’ মারা পড়ত!
          আমাদের এখানে হাড় হিম করা ঠাণ্ডার বিপরীতে কুয়ালালামপুরে পুরোদস্তুর গরম। এ সি বন্ধ করলে রাতে ঘুমানোর ঊপায় নেই। দিনের বেলা খুব বেশি হলে ফুল হাতা শার্ট পড়া সম্ভব। ব্লেজার বা কোট গায়ে চড়াতে হলে এ সি রুমে থাকা আবশ্যক। নতুবা গলদঘর্ম।
     
 চব্বিশ ডিসেম্বর। জেনটিং হাইল্যান্ড কুয়ালালামপুর থেকে ঘণ্টা দু-এর রাস্তা। দারুণ সুন্দর জায়গা। এক কথায় মন-কাড়া, স্বপ্ন-তুল্য। থেকে দু ঘণ্টার ব্যবধানে একেবারে গ্রীষ্ম থেকে শীতকালের পরিবেশ। অনেক টা আমাদের চেরাপুঞ্জি-র মত আবহাওয়া। একবার যদি সেখানে যান, আর ‘ক্যাবল-কার’ (রোপ-ওয়ে) না চড়ে ফিরে আসেন, তবে সে দুঃখ পুরো-জন্মে ভোলার নয়। দারুণ অনুভূতি। পনেরো-কুড়ি মিনিট লাগবে একবার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে যেতে, সমান সময় ফিরে আসতে। টিকিট মাত্র ৬ রিঙ্গিত। আসা যাওয়া ১২ রিঙ্গিত। গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে প্রায় শো খানেক ক্যাব একদিকে যাচ্ছে, তো আরও শো খানেক ক্যাব ফিরে আসছে। একেবারে বিরামহীন। দু-প্রান্ত থেকেই অবশ্য শহরে ফিরার গাড়ি পাওয়া যায়। সঙ্গীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা ও-প্রান্তে গিয়েই নেমে পড়লাম।

         রোপ-ওয়ে দিয়ে ফিরে না এসে দারুণ লাভ হোলো। এ প্রান্তে এসে দেখলাম, স্থানীয় এক মহিলা নিজস্ব অভিনব পদ্ধতিতে, অনেক রকমের  চাটনি জাতীয় খাবারের পশরা সাজিয়ে বেশ বড় মাপের দোকান খুলেছেন, কেনা কাটাও হচ্ছে দুর্দান্ত। রয়েছে করলার, শসার, আদার, আলুর আর এ জাতীয় অন্যান্য শাক-সবজীর আচার, এবং সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন আকৃতির আর বিভিন্ন স্বাদের ফল দিয়ে বানানো চোকলেট। রোপ ওয়ে দিয়ে ফিরে আসলে এটা দেখা সম্ভব হতো না। দারুণ মিস করতাম।
       কুয়ালালামপুরে শহরের ওপর এক প্রান্তে এক পাহাড়ের গুহায় রয়েছে অন্যতম আরেক মুখ্য আকর্ষণ। বিশেষত ভারতীয়দের জন্য। ‘বাঁটু-কেভ’। প্রায় ২৫০ টা সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ে চড়ার পর দেখতে পাবেন ঐ গুহা। গুহার মূল প্রবেশ দ্বারে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি পিতলের মূর্তি। ‘মুরুগান’, বা আমাদের মতে কার্তিক ঠাকুর। প্রায় ১৫০-১৬০ ফুট উঁচু। পাহাড়ের ওপর গুহার ভিতরে রয়েছে মন্দির। দক্ষিণ ভারতীয় পুরোহিতরা রয়েছেন। রোজ পুজো হয় । প্রণাম করে দক্ষিনা দেওয়ার পর কপালে আঙ্গুল দিয়ে এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে সাদা মাটি লেপে দিলেন পুরুত- মশাই।
          
 কুয়ালালামপুর থেকে কলকাতা চার ঘণ্টার উড়ান। বিমানে বসে করার কিছুই নেই, তাই যতটুকু দেখলাম, মনে তরতাজা থাকতে থাকতে ল্যাপটপ এ লিখে নিচ্ছি।
       জানালা দিয়ে বাইরে চোখ পড়ল। ঘণ্টা তিনেক পেরিয়ে গেছে, বিমান বঙ্গোপোসাগরের ওপর। হাল্কা মেঘের নিচে থাকা ধরিত্রী মাতা-কে দেখা একেবারেই দেখা যাচ্ছে না। পুরোটাই জলে ঢাকা। যেন বিশাল একটা জল-বেলুন। বাঁ দিকের আকাশে তাকালাম। দেখলাম, উজ্জ্বল কাঁসার একটা ঝুলন্ত থালা! আর কেউ নন, উড়োজাহাজের নীচে থাকা ধরিত্রী মা’র আপন ভাই; আপনার  ছোটবেলার মামা, আমারও...

-‘চাঁদ-মামা’! রয়েছেন বাঁ দিকের মধ্যাকাশে...!


কোন মন্তব্য নেই: