“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৩

চুপ


চুপ! কথা নয়, কারন মসনদে আমি আছি।
আমার রঙ পৃথিবীর রঙ হবে। আমার আত্মা হবে সক্রেটিসের।
আমার সাম্রাজ্যের দেয়ালে পিকাসো ছবি আঁকবেন সাদা কোরা শাড়ীর ক্যানভাসে।

যে শাড়ী দিয়ে কামদুনির মেয়েটির ঘায়ে ব্যান্ডেজ বাধা হয়েছিল সেটি অসংরক্ষিত এবং সবুজ নয়।

আগামী তিনদিন রাষ্ট্রপতি ঘুরে বেড়াবেন কোন পাহাড়ি সরকারের বিশ্ববিদ্যালয়ে। দীক্ষান্ত ভাষণ দেয়ার জন্য যে গাউনটা বানানো হয়েছে তার রঙ নির্ধারণ করবে সেই মেয়েটি। আমি সেই অসংরক্ষিত অসবুজ কাপড়ের টুকরো
দিয়ে ব্যাচ বানাবো এবং পড়ে যাবো দীক্ষান্ত ভাষণের অনুষ্ঠানে।
কারন এই কামদুনীর পথ দিয়ে বহুবার হেটে গেছেন রাষ্ট্রপতি। তিনিও পুরুষ।

এই চুপ! কথা নয়।

আমার সাম্রাজ্যে এমনটা হবেই। আর এমনটা হওয়ার জন্য তোমাদের তৈরি থাকতে হবে। কারন সেদিন আমার রাস্তায় একটি সবুজ বা হলুদ পতাকাও ছিলনা।
লাল শাড়ী বিছিয়ে দিয়েছিল কিছু মানুষ। তাই তোমায় চুপ থাকতে হবে।
জল কর দাও, মাটির জন্য পয়সা গোন। নিরাপত্তার জন্য কোন ট্যাক্সো কিন্তু দাওনা ভায়া! তাই তোমার শরীরকে যেকোন সময় তৈরি থাকতে হবে।
তৈরি রাখতে হবে তোমার ব্যাগে লিপস্টিক। ঠোঁট পালিশের রঙটাও হবে সবুজ। লাল ক্ষতর উপর সবুজ লিপস্টিকের টাচ। লালের উপর সবুজের রঙ। যেমন হয়না সিঁদুরে আকাশে কালো মেঘের ইতিউতি।
বৃষ্টি আসবে বলেই সেই সিঁদুররঙা আকাশ মিলিয়ে যায় সান্ধ্য আড্ডায়। সৌর মণ্ডলের রকে বসে আড্ডা দেয় তখন বৃহস্পতি।

লাল গ্রহের কাছে বলে যেও তোমার কথা।

চুপ!
আমার নিঃশ্বাস, কার্বন ডাই অক্সাইড হয়ে তোমায় সাহায্য করবে বেঁচে থাকতে।
গাছেরা যেমন রাতের অন্ধকারে রান্নাবাটি খেলে, ঘর গৃহস্থী করে, তেমনি তোমার জন্যও বরাদ্দ ঐ রাতটুকু। অজস্র লতাপাতা আর ঘাস ফুলেদের নিয়ে বাগান বানাও কমরেড।
কামদুনির আকাশকে ভুলে থাকাই ভালো। সেখানে শুধু লাল শালুর শামীয়ানা। সীমা মাহাতো কে চিহ্নিত করে রাখো। সালোক সংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় তাকে দরকার পরবে কাল অথবা পরশু।
তাই চুপ করে থাকো কামদুনী।

চুপ!

কোন মন্তব্য নেই: