“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৩ জুন, ২০১৩

প্রথম কদমফুল



                  # স্মৃতি পাল নাথ # 
(c) ছবিঃPicture















গান হই না কেন ?
গান হই না কেন ,প্রথম কদম ফুল ?
আমার চোখের ভেতর হরিণ,মনের ভেতর ময়ূর
শব্দের ভেতর যে শুনশান মাঠ, নদী, নৌকা,গাছপালা,পায়ে চলার পথ
দূর ছায়াপথ,শস্যক্ষেত্র,অরণ্য,প্রান্তর
আমার শব্দের ভেতর বাবুইপাখি,আমি খড়কুটো
ফসলের গন্ধে দিগ্বিদিক স্বজনেরা,আমার আলজিভে ঘা
মেঘ ও বিদ্যুতে ছেয়ে আছে দূর ছায়াপথ
মেঘেরা করে কানাকানি
একফোঁটা বৃষ্টির জল হাতে দাও আমায়।
জানো,স্বপ্ন দু’ঠোঁট উল্টে অভিমান করে
জীবন্ত শিলায় আমার রাস্তাগুলো যে বদলে দিয়েছে
আমার রাস্তাগুলো দিয়ে আমি হেঁটে যাই
গুপ্তশত্রুরা যেমন লুকিয়ে থাকে
কিছু জোছনা,কিছু রোদ সব সময়ই মানুষের সঙ্গে থাকে
নিজের মধ্যে থেকে বেরিয়ে যাবার রাস্তা ।
যে সংসার বেশ্যার গলি
ভেঙে দাও প্রথা
বরবউ,জঙ্গলে ভ্রূণ
ছিঃ। জানো, ছিঃ বলতে নেই ।
বৃষ্টি হইনা কেন ?
পৃথিবীর প্রথম আগুন এই বক্ষে
তোমার গান
ভিখিরিদের শীতের উত্তাপ হয় না কেন ?
গাছ দেখলেই চিনে নিতে পারি
আমার সূক্ষ্ম ফুলগুলি কাঁপে
কারও কারও সঙ্গে কথা বললে কেমন পাথর লাগে
আমার নাম না জানা ঝর্নারা ছটফট করে,অসংখ্য নদীর জন্ম হয়
আমি ডুমুরগাছ চিনি,ডুমুরফুল চিনি ।

(২০০৫)


কোন মন্তব্য নেই: