“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৩

একটি সড়কের কাহিনি

।।ড০ কফিল আহমেদ চৌধুরী ।।
কটি সড়ক,
সেই বহুকাল থেকে
অনন্ত স্বপ্ন নিয়ে
আর পাঁচটা সড়কের মত —  
পাহাড়ের গা বেয়ে,
ধুসর মাঠের বুক চিরে
চলতে চলতে ভীষণ ক্লান্ত।
শরীরে তার অজস্র ক্ষত,
ক্ষয়িষ্ণু বুকের পাঁজর
মড়মড় করে ভাঙছে অবিরত;
অথচ বয়ে চলেছে
হাজারো গাড়ির কনভয় —
সে তো নিছক চার বা ছয় চাকা নয়,
চাকার কারাভ্যান, অগুনতি চাকা!
নির্মম যাতনার ভা্র বয়ে যায় একা।

পাহাড়ে কখন যে চলবে রেল
নেই তার ঠিকানা;
পরিবহন লবি, আর নেতাদের ঝুলি, 
কোথা যাবে চলি
এই এক দুর্ভাবনা;
মাঝে মাঝে কয় তবু
ব্যথিত পথিক সুহৃদ —
“এই কেন হাল তোমার হে সড়ক সাথি?
কে আছে আজি দেবে তব ঘায়ে মলম মাখি?”

প্রখর রোদে ধু ধু বুকে
উঠে যবে ধুলোর ঝড়
কুড়ির যুবক ষাটের বুড়ো হয়ে বাড়ি ফিরে;
নতুবা,
ডোবা ভেবে ডুব দিতে যায় বালিহাঁস
এক পশলা বৃষ্টিতে।
তাইতো,
বিলাপ করি কহে অভাগা সড়ক
“শুনছো সকলে, বাঁচতে দাও মোরে
নরক হয়ে নয়, সড়ক হিসেবে”। 

 




কোন মন্তব্য নেই: