“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০১৪

অনন্ত মধ্যরাতের গান


(শান্তনু সরকার অসমের পূবপ্রান্তীয় শহর মার্ঘেরিটা নিবাসী কবি। লিখছেন বহুদিন ধরে । ছেপেছেন কম। তাই অসমেও অনেকে তাঁকে চেনেন না। সম্প্রতি 'অনন্ত মধ্যরাতের গান' নামে একটি বই বেরিয়েছে গুয়াহাটির 'সাময়িক অসম' প্রকাশনা থেকে। তার থেকেই প্রথম কবিতা এই। এই কবিতার নামেই বইএর নাম। সঙ্গে রইল আরো একটি। ভালো লাগল বলে তুলে দিলাম। আশা করছি আপনারাও এই কবি সম্পর্কে উৎসাহী হয়ে উঠবেন।)
 

মদে আমার নেশ হয় না
         মাতাল হই রবীন্দ্র সঙ্গীতে;
চিন্ময় বলেছিল সেদিন---
        আঁধার কালো অনন্ত মধ্যরাতে!
 

তোমার অসীমে প্রাণ মন লয়ে
যত দূরে আমি ধাই---
কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু, কোথাও বিচ্ছেদ নাই।
 

মদে আমার নেশা হয় না
        মাতাল হই রবীন্দ্র সঙ্গীতে;
চিন্ময় বলেছিল সেদিন---
        আঁধার কালো অনন্ত মধ্যরাতে




*******





















এখন অন্যরকম

এতটা পথ এগিয়ে এসে, এখন
ফিরে যাওয়া , তোর কাছে, মানাবে কি?

কলমিলতা কত বড় হয়ে গেছে, শাকচুন্নির গল্প
মনে আসি কখনও -কখন_ এরকমই।

শহরতলি ছাড়িয়ে গ্রাম্য-পথ এখন শিল্পনগর
কতলোক, লোহালক্কড়, কথার সঙ্গে কাজের গরমিল হামেশাই...

ব্যস্ত প্রহর, প্রহরাধীন সময়, মানুষ এবং তার কণ্ঠস্বর।

এখনো স্বপ্ন দেখি, গান শুনি মধুকর ডিঙা বেয়ে যায়
ভোরের আজান দেয় মোল্লা জনাবউদ্দিন বারোমাস...

কোন মন্তব্য নেই: