“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৪

শীতগাথা

(সৌজন্যঃ রবিবারের বৈঠক)


























 (কবিতাটি দৈনিক যুগশঙ্খের 'রবিবারের বৈঠক,
 ২১ ডিসেম্বর, ২০১৪ সংখ্যাতে প্রকাশিত)




।।দেবলীনা সেনগুপ্ত।।




প্রতি শীতদিনে
কমলা – কোয়া সম
মিঠে কড়া রংসাজে
রোদ হেসে যায়
আমার ঘর- আঙিনায়
কাপাস তুলোর মত
নরম মায়ায়
আকণ্ঠ করি পান
সেই রোদগান
এবং গোধূলিবেলায়
নীড়গামী পাখির ডানায়
যবে আঁধার ঘনায়
কুয়াশা আখরে ঢাকে নিসর্গরেখা
দিকচক্রবালে
তখনই পাহাড় হতে পাহাড়ের ঢালে
জুম-খেতির আগুন শিখায়
সব শীত দূরে যায়
আগামী ফসল আশায়

এখনও...
প্রতি শিশিরবেলায়
শীতগাথা আমোদ ছড়ায়
আমার মন – আঙিনায়...।

কোন মন্তব্য নেই: