“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০১৫

প্রাধান্য

।।শমীক চৌধুরী ।।

(C)Image:ছবি




















য়স হয়েছে সত্তরোর্ধ।
দেহ নয় জরা জীর্ণ।
চাই না যেতে অন্যথা-
সন্তানাবাসে স্থায়িভাবে।
ছেড়ে গিয়ে সাধের বানানো বাড়ি,
প্রাধান্যটাই যে যায় ছাড়ি।
কুশল ,মঙ্গল  কিম্বা গন্তব্য কোথায় ?
করে না এই প্রশ্ন কেউ পথে।

ব্যস্ত পথ পেরোতে জেরবার,
অবাধ যানবাহনের নাম নেই থামবার।
ছিলাম না কখনো পরমুখাপেক্ষী।
আজীবন স্বাবলম্বী ,মৃদু গর্বিত- আত্মাভিমানী।

এটাই কি নয় সহজ ব্যবস্থা -
তিন মাস পুত্র সকাশে ,
আর তিন কন্যা আবাসে;
বৎসরের বাকিটা ভিটে সুবাসে।

অন্তর্জালের ইন্দ্রজালে,
তবু মনেহয় সবাই কাছে।
প্রতি ছুটির দিনের প্রদর্শনী।
বাকি দিনগুলি কাটে তারই অপেক্ষায়,
গত দিনগুলির স্মৃতি আর আলোচনায়।
সময় কত দ্রুত চলে যায় !!

এই তো জীবন -
যার আশার বীজ করেছি রোপন,
নিপুণতায় কয়েক দশক আগে,
উদ্যম দুর্বার যৌবনে।
কেন করব অনুযোগ ?
হয় যদি বা দুর্ভোগ।

কেটে যায় অবসর জীবন
নিস্তরঙ্গ- সহজ- সরল।
নাই কোনো উচাটন,
কিম্বা নতুন অধ:পতন।
তবু যারা ভাবিকালের বৃদ্ধ
কাটাবে কি করে তারা
বার্ধক্যের দিন গুলো ?
নবপ্রজন্ম শুধুই কি আত্মমগ্ন ?
না বিবর্তনে হবে পরিবর্তিত
আবারও ঘুম ভাঙবে !!
বার্ধ্যক শুধু কাগজে নয়
জীবনেও প্রাধান্য পাবে।

কোন মন্তব্য নেই: