“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১ জুন, ২০১৫

মরু আখ্যান



         ।। নীলদীপ চক্রবর্তী ।।

(সৌজন্য রবিবারের বৈঠক)
বালিয়াড়ি শেষ হয় ঐখানে
মরুভূমি জলমগ্ন হয়
খেজুরের গাছ, কাটা মনসার ঝোপ
প্রত্নজীবের মতো শেকড় গেঁথে
জলের গভীরে দাড়ায়
রহস্য আর অতীত বোঝা নিয়ে
কুঁজো পিঠ উট হেটে যায়
তেতে ওঠা গরম বালিতে - 
হিম হয়ে যাওয়া মরু রাত পর্যন্ত।

বেদুইন আসে, আসে আদিবাসী
মাদলের জড়ানো নেশায়
তালে তাল ফেলে নগ্ন পায়ে ।
প্রহর কাটে, জল বাড়ে,
জলমগ্ন হয় মরুভূমি

দৃশ্যত সাজানো বাগান
সারি সারি ঘর বাড়ি
এই মরুভূমে সবই বাস্তব,
জলরাশি শুধু একা
যেটুকু দৃশ্য, যতটুকু ভেজা
শুধুই মরিচিকা... !

কোন মন্তব্য নেই: