“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ৭ জুন, ২০১৫

মিতালিরা রাত্রে আসে



















।। মিঠুন ভট্টাচার্য ।।


ঘুমভাঙা রাতে
দেয়াল হাতড়ে ,
চোখজ্বালা আলোয় সোজা কলঘর ;
অপ্রয়োজনীয় তলব শেষে
বিছানায় ঝাপসা তন্দ্রায় তোমার কণ্ঠস্বর
তোমার বিরক্তিভরা প্রশ্ন -
কেন রোজকার এ আজান-পাঠ ?
অনেক সময় তো গড়িয়েছে
দূরত্বে এসছে নটিক্যাল মাইল ।
অগুনতি দুপুরের ছিরিছাদহীন কথাবার্তার
নেপথ্য ভাষণ আন্তর্জালের পর্দায় ,
শালীনতা হারিয়ে এখন পরকীয়ায় ?
ঝাঁঝালো বাতির অনধিকার প্রবেশ আমাদের বার্তালাপে
কলঘরের ফ্লাশের শব্দে কিছুটা আত্মস্থ ।
আবার ও রাতের মান্যতায় নরম তোষকে শরীর বিছানো ,
তারপর শুরু রহস্য-প্রেমের ধারাবাহিকের পাতার পর পাতা
অনর্গল ।
গোঁজামিল গল্পের শেষে প্রচ্ছদে দেখি
সকাল আটটা ।









কোন মন্তব্য নেই: