“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

যাও নাবিক


।। চিরশ্রী দেবনাথ ।।
(C)Image:ছবি









মুদ্র তার প্রত্যেকটি  ঢেউ এর সঙ্গে রেখে যায় ডুবে যাওয়া জাহাজের নাবিকের শেষ কথাগুলো, যদি ভুল করে সাগরপারে দাঁড়িয়ে থাকে  নাবিকের জন্ম শহরের কোন অধিবাসী, ঢেউয়ের শ্বাস মেখে দেয় সমুদ্র ঐ অপরিচিতের গায়ের রোমে রোমে, নোনাজলের ক্ষয়। সমুদ্রহীন ছোটশহরের সকালে চায়ের জল ফুটতে থাকে নাবিকের ঘরে, না শুকানো আধভেজা কাপড় মেলতে থাকে নাবিকের নারী। মাঝসমুদ্রে তখন ভীষণ ঝড়, ডুবছে জাহাজ, মাস্তুল সব একাকার,  লাইফবোটে নেমে যাক কেউ কেউ, নাবিক শুধু হাল ধরে থাকে, তার জন্য অপেক্ষায় বারমুডা ট্র্যাঙ্গেল ...ঘন কুয়াশাসাগর, আর কোন চিহ্ন সে রেখে যেতে চায় না এই ক্রমাগত জীবনে, তবু ভেসে উঠে চোখে আলখাল্লায় মুখঢাকা কোনও জীব, ছন্দহীন সালসায় পরিযায়ী নাবিকের পাপ,  বিধ্বস্ত চুরুটে গচ্ছিত থাক আবারো কোন ফ্রান্সিস ড্রেক। সী বিচ্  একলা শুয়ে থাকে, আদ্যিকালের শঙ্খবুড়ীর শ্যাওলা পড়া শরীরে হারিয়ে যাওয়া নুলিয়া ছেলের আঁশটে গন্ধ, তার  কাছে শুধু দুটো শঙ্খ, একটায়  কান পাতলে ছেলেভোলানো সমুদ্র গর্জন, অন্যটায় ডুবন্ত জাহাজের কোলাহল .....

কোন মন্তব্য নেই: