“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০১৬

একটা কবিতার জন্য


।। সুনীতি দেবনাথ ।।


(C)Image:ছবি




















কটা কবিতার জন্য নির্বাসনে যেতে
এই আমি প্রস্তুত আছি
আমি কোমল মধুর মাটির
মায়া বিলকুল ছেড়ে দিয়ে
থর মরুভূমির কাঁটা ঝোপঝাড়ে
বালুময় নির্মম বুকে মধ্যাহ্ন সূর্যের
প্রখর উত্তাপে নিজেকে সঁপে দিতে পারি।
একটা কবিতার জন্য
শুধু একটা কবিতার জন্য
পাথুরে অনুর্বর নিষ্ফলা মাটিকে
সরস করে তুলতে কলস কলস জল
বহু মাইল দূর থেকে টানতেও রাজি
রাজি আমি পাহাড়ি ঝোরার কাছে
নতজানু হয়ে জল প্রার্থনায় আকুল হতে।
সামুদ্রিক নোনা হাওয়া ঝাউয়ের বনে
যে প্রলয় নৃত্যে মাতন তুলে তুলকালাম
তেমনি মত্ততায় একটি কবিতা আসুক
আমার অহংকার চুরমার করে বিলীন করুক
আমাকে সাগরের জলে ক্ষতি নেই কোনও
তবু সে আসুক এই একান্তে নটভৈরব মূর্তিতে
অবিরত সে প্রার্থনায় আমি নিজেকে ভাঙ্গি গড়ি।
একটি কবিতা আমার স্বপ্নের দেউলিয়াপনাকে
টইটম্বুর পূর্ণতার প্রতিশ্রুতি এনে দিতে পারে।
নতুন পৃথিবীর নাবাল ভূমিতে সবুজের ঢেউ,
পর্বতের বিস্মিত বিস্তারনদীর এলোমেলো চলা,
উন্মাতাল শস্যক্ষেত্রে ফসলের কোমল পদসঞ্চার,
জনপদে জনপদে প্রাণিত উচ্ছ্বাস এঁকে দিতে পারে
সে কবিতার ব্যাপ্তির বিশালতায় ডুবে যেতে চাই।  
কাজরী,
১৯ফেব্রুয়ারি,২০১৬

কোন মন্তব্য নেই: