“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শুক্রবার, ৬ মে, ২০১৬

॥ আরশি ॥

- নীলদীপ চক্রবর্তী
রুক্ষ দেয়ালে এক ধূর্ত আরশি মুখে
প্রতিফলিত যত বাস্তব মুখগুলো
ঘোর সন্তোষে ফিরে ফিরে যায় তারা

আরশি কারচুপি করে, মুচকি হাসে ।
আপাত নিরীহ, বোকা সুচতুর সবাইকে
আরশি ফিরিয়ে দেয় ।
গোপন অতি সঙ্গীন অথবা রঙিন বৃত্তিগুলো
ঢাকা পড়ে যায় সযত্ন মুন্সিয়ানায় ।
সুরে মুর্ছনার মতো সুযোগ সৃষ্টি করে
এলোমেলো অঙ্গ গুলো পরিপাটি রূপ ধরে
চোখের অতল গহনে নামে কাচের উল্টো চোখ
আরশি নগরে বসবাসের কেউ নাগরিকত্ব পায় !
ভাগ্যি অতি হৃদয় টুকু অধরা থেকে গেছে
ভাবনা গুলো খেলছে মুখে এক্কা দোক্কা খেলা
গ্রীষ্মে শীতে রাতের আলোয়, দিনের অন্ধকারে
আরশি ফেরায় , ভাবলেশহীন ফ্যাকাশে মুখোশ যত ...

কোন মন্তব্য নেই: