“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭

ক্রমশ ধোঁয়াটে হয়ে আসে


।। শিবানী দে।।


















ক্রমশ ধোঁয়াটে হয়ে আসে
ভেতরে, বাইরে ।

এই তো সকালে ছিল মধুবর্ণ আলো
গলানো সোনার রঙ ঝলকানো প্রপাত
আকাশ স্ফটিকস্বচ্ছ, মাটিতে পিছলে পড়া
বৃক্ষ থেকে দূর্বাঘাসে চিকন সবুজ।
সবুজ  ডানায় মাখি, নীলিমার বুক চিরে
অসীমে যেমন খুশি ভেসে যাই পাখি----

সময় এগোয় ।
দিগন্তের নিচে ঘোলাটে পরিধি দেখা দেয়,
নীলের মিশেলেঘোলাটে প্রধান বিস্তৃত----  বিস্তৃততর----
চক্রাকারে উঠে আসে । পাখির ডানায় ক্লান্তি। নীড় বড় দূর।

            ধীরে ধীরে ফিকে আলো, দিন ক্রমে ফুরোনোর দিকে
অগ্রসর হতে থাকে । আলোর পরিধি ক্ষুদ্রতর ।
পাখির চোখে ক্রমশ ধোঁয়াটে হয়ে আসে
ভেতর,  বাহির,   লুপ্ত   বিন্দু-----

  *    *    *    *    *   

তারপর----- অন্ধকার-----বিশ্বচরাচর ।

কোন মন্তব্য নেই: