“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭

ছন্দ কৃষ্ণচূড়া

কৃষ্ণচূড়ার দৃপ্তশাখায়
জাগলো যখন বোশেখ – ব্যথা
তেপান্তরের মাঠের ছায়ায়
তুমিও একা আমিও একা ।
একটা নদী আমার নামে
পাঠিয়ে দিলাম তোমার দেশে
জোয়ার ভাটার হেলাফেলায়
উজান বেয়ে মাঝির বেশে
আসতে পার, মন যদি চায়
শীতের শেষে পত্রঝরায়
মাঠের পাশে কাশ আঁকবো
ধুলোর কাঁকড় সরিয়ে দিয়ে ।
কাপাস তুলোর নরম আদর
চাঁদের আলোয় ডুবিয়ে নিয়ে
জ্যোৎস্না ক্ষতে প্রলেপ দেবো
মেঘের ঘরে হাত বাড়িয়ে।
মাটির জীবন  মিশবে ধুলোয়
জন্মবীজও  মাটির নীচে
কৃষ্ণচূড়ার ছন্দ শিখে
লাল ছড়াব আকাশ দ্বীপে
সন্ধ্যা যখন, পাখির সাথে
ফিরবো বাড়ি গহন বনে
একলা আমি গান শোনাব
একলা তোমায় আপনমনে।

কোন মন্তব্য নেই: