“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৭

আমি এখন -২৬
















।। পার্থ প্রতিম আচার্য ।।


তোমাকে আঁকতে হেরে যাচ্ছি
বারবার -
হে বেদনা -
বাক্সের ভেতরে একটা মানুষকে আটকে
যখন ছেড়ে দেয়া হয় আজব কীট- সেটা
কী অনুভূতি আমি জানিনা ,
বুঝি মাথায় কীভাবে বিদ্যুৎ তরঙ্গ
দৌড়ে যায়- ঠিক বুঝি
দুপুর থেকে বুকের ভেতরটায়
পিপাসার্ত আমার জন্য
একটা কালো শুকনো কুঁজা 

নিজেকে  মনে হয়
মেইজ রানারের জম্বিদের মত
কেও শেকল পায়ে আটকে রেখেছে আমায়
আর গলিত গিরগিটি সদৃশ
চামড়া থেকে ফুঁড়ে বেরুচ্ছে
রক্ত আর পুঁজ 

এই সব কি বেদনা?
আমি জানিনা-- কিন্তু মাথার
উপড়ে সূর্যটা জানান দিচ্ছে একটা জঘন্য অনুভূতি-মণ্ডিত দিন-
ফোরাচ্ছে ।
তারপর আঁধার 
তবু কাল সকাল হবে
ফিচেল সূর্য , অভব্য সূর্য
স্যাডিজম ভুলে আলো দেবে
কাওকে পোড়াবে- কাওকে
করবে প্রোজ্জ্বল ।

মা আমার
তোরই কাছে বন্ধক রাখলাম
সেই আশ্চর্য পেটি
যা বলে দেবে কাল সূর্যের খেলা
আমি বাঁচতে চাই
আর জিয়ন কাঠি ?
তোর হাসি মুখ।।




..




কোন মন্তব্য নেই: