“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কবি

।। রাজেশ চন্দ্র দেবনাথ ।।


(C)Image:ছবি
















তারা সবাই কবি হতে এসেছে,
তারা সবাই
এক এক করে আদিম দলে ভিড়ছে
দলের নষ্ট গোড়ায় জড়িয়ে ধরছে।
টিকে থাকা,টিকিয়ে রাখার
চলছে ধুন্ধুমার জোর লড়াই।
কেহ ভাবছে না,কেহ আনছে না
লাল মেঘের জীবন্ত ষাঁড়।
সেখানে দাঁড়িয়ে
কেহ খুঁজে নিচ্ছে না কর্ণের কান্না।
যেন নীললোহিতের
সূত্রটা চিনে নিয়েছে বেশ।

দশকের পর দশক
এখানে আগুন নেই,নেই শিস
কবিতার নয়,চলছে প্রতিষ্ঠা  পাবার জোড় প্র্যাকটিস।
এখানে চোখে চোখ রেখে
কথা বলা নিষেধ
এখানে সুচারু কৌশলে
পাতায় পাতায় একে দাও ভেদাভেদ।
এখানে বাজার বসেছে,আছে অজস্র লোলুপ চিল
বিছানায় এলেই রাতারাতি মিলবে
কবি হবার দলিল
এখানে সাদা পাতায় চাঁদ জাগা সাধনা ভুলে
নবীন আছে মঞ্চের হাততালি কল্পনায় ঝুলে
এখানে জোর গলায় কেহ আওড়াচ্ছে না
শেখানো বুলি মুতে ভাসিয়ে দেবার
স্বপ্ন বুনছে না
এখানে সবাই আছে দু হাত তুলে
পুরস্কারটা হাতিয়ে নেবার সুকৌশলে
এখানে সন্ধ্যা নামলেই চলে খেলা
মত বিনিময় নয়,ভাসিয়ে মদের ভেলা
এখানে খুচরো কবিরা মুখে এঁটে রাখো তালা
লাথি মেরে গুঁড়িয়ে দেবে কোন শালা?

কোন মন্তব্য নেই: