“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

সম্মোহন

।। অর্পিতা আচার্য।।
(C)Image;ছবি













মি ঈশ্বর সঞ্জাত
বলেছিল সেই লোক-
“আমি জন্মের গন্ধ পাই, মৃত্যুরও..
আমি অশুভ নিনাদ শুনতে পাই
তরঙ্গ লহরী ভেদ করে
অতীতের বেদ মন্ত্র,
ফিসফাস উচ্চারিত কানে প্রতিদিন ।
কথা শুনে, কিছু মনস্তত্ত্ববিদ
আর চিকিৎসক, বিজ্ঞানীরা মুচকি হেসেছে।
ওষুধ আর পরামর্শ দিয়েছে অনেক,
সে সব ওষুধ আর অভিভাবনেরা
চোরাচালানের স্রোতে ভেসে গেছে
আক্রান্ত বাইপাসে
ঈদিপাস গূঢ়ঈষা তাড়িত
সেই লোক তাই, আজো মধ্য রাতে
মাতৃ সাধনায় বসে-
খুলি গহ্বরে সঞ্চিত করে বিভেদের ফুল
আর আশ্চর্য এ দেশে
সম্মোহন পারঙ্গম আরো কিছু চিকিৎসক
মনস্তত্ত্ববিদ আর বিজ্ঞানীর কুল
সে ফুল ছড়িয়ে দেয়, বিষাক্ত বাতাসে

কোন মন্তব্য নেই: