“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ৬ মার্চ, ২০১৭

প্রসব










।।মধুমিতা নাথ।।

ঘুমন্ত শহরের মধ্যরাতে ব্যথার তীব্রতা বাড়ে
থেকে থেকে ক্লান্ত ঝিমুনি
পূর্ণ গর্ভবতীর মতো ,
কতো 'ডেল' ব্যথা হলে মুক্তি মেলে ডক্টর ?

যন্ত্রণায় কুঁচকে যাওয়া চোখের কোণে বাষ্প জমে
দলা পাকানো কষ্ট আটকে দেয় অনুচ্চারিত শব্দ
মন আর মননের দ্বান্দ্বিক লড়াই ,
লড়াই চলে ----
অনাগত সকাল যে চাই

তুমি তো শল্য-পারদর্শী , ডক্টর !
তোমার শান-ঘষা ছুরি-কাঁচির ধারটুকু আমায় ধার দেবে ?
হেসো না ডক্টর ---
তোমার ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ কিছুই আমি দেখবনা এখন

জানি ---- এ স্বপ্ন তোমার নয়
            এ কথাও তোমার নয়
ব্যথা-সুখ-রাগ-অনুরাগ কিছুই তোমার নয়
তাই কষ্টটুকুও তোমার নয়।
তবুও কেবল তোমারই হাতে মুক্তি অপেক্ষায় ---
রাতভোর সয়ে যাওয়া ,
'য়ে যাওয়া ব্যথার ভিসুভিয়াস
তারও পর ---
শিশু-সূর্য যখন চোখ মেলে
আলোকিত শল্য-আগার
ছুরির ফলায় নাচে রক্ত মাতন ,
ছুঁচ ফোটানো কষ্টেরাও
কান্না ভুলে থাকে আপাতত

তোমার এই নিষ্ঠুরতাটুকু
আমার সৃষ্টির তাগিদেই ডক্টর !
আমার মাতৃত্বেই তোমার অহংকার ---
তোমারই প্রথম স্পর্শ-ধন্য
আমার আত্মজ ---- কবিতা !!



কোন মন্তব্য নেই: