“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ, ২০১৭

রঙিন চশমা

(C)Image:ছবি













।। দেবলীনা সেনগুপ্ত ।।
 

যারা সত্য বলেছিল
তারা কোন পুরস্কার পায়নি
তালিকাভুক্ত হওয়ার মত
যথেষ্ট স্নেহপদার্থ
ছিল না তাদের জীবন যাপনে
চোখে ছিল না রঙিন চশমা
চাঁদকে তারা সূর্য বলেনি
অথবা অমানুষকে ঈশ্বর
তারা এক ঘরে একা হয়েছে
একা--একাতর----এবংএকাতম
তারা বিদ্রোহ করেনি
অধরোষ্ঠের সংগমে , প্রসারণে
ফুটিয়েছে উদাসীন উপেক্ষা
তারা বিপ্লব করেনি স্লোগানময়
দৃঢ়বদ্ধ চোয়ালে শুধু চলে গেছে
আলোকিত নক্ষত্রের পথে
একাই--- সত্য সাথে৷
একদিন বহুযুগ পরে
পৃথিবী আসর সাজায় তাহাদের তরে
বিজ্ঞাপনময়
পৃথিবীর বয়স বাড়ে
সত্য বিজ্ঞাপিত হয়৷

কোন মন্তব্য নেই: