“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৭

লাইনে দাঁড়ান



।। অর্পিতা আচার্য।।

ছোট ছোট ঘটনায় বড় বড় প্রতিক্রিয়া, এ আপনাদের স্বভাব মশাই   কী  চান ? হাততালি ? টি.আর.পি ? কেরিয়ার থেকে মগ্ন সন্ন্যাস -তাও কিন্তু হতে পারে !বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ভাবতে শিখুন  কোন উন্নতি কি দেখছেন না দেশের ? দেখছেন না, এ দেশে সুদিন এসে গেছে !

সাদা সাদা টাকা সব স্বচ্ছ হাওয়ায় 
পাক খাচ্ছে পবিত্র বাতাসে,
নির্মল গঙ্গার ধারে ঘাস খাচ্ছে স্বর্ণগর্ভা নির্ভয়া গোমাতা।
মাংসের দোকান যত   
সারি সারি  নিদ্রাতুর 
বর্জ্যহীন,রক্তহীন, শূন্য পাটাতনে
ব্যক্তিগত চরকায় 
দিচ্ছে তেল -হিন্দু মুসলমান !
টুপটাপ ফোঁটা ফোঁটা পড়ছে ঝরে 
চাপাতি,কৃপাণে !
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উচ্চারিত হচ্ছে পুনঃ 
আদি সামগান, অতীতের গর্বিত উত্থান ।
হাইটেক সন্ন্যাসীরা বিমুক্ত,নির্লোভ 
পরিচ্ছন্ন সাজঘরে বসিয়েছে
 ভেষজ সম্ভার
শপিং মলের আলো ঠিকরে পড়ছে 
ঘৃণ্য সব সর্বহারা ভিখারি দোকানে
যুদ্ধ যুদ্ধ দামামায় আলোড়িত,
উচ্চকিত প্রত্যয়ী স্বদেশ

এসব পড়ছে না চোখে ? তবে আপনি অন্ধ,অথবা দেশদ্রোহী দেশদ্রোহীর স্থান এ দেশে দুষ্কর বরং প্রতিবেশী দেশ আছে,টিকিট কাটুন ! আর অন্ধ হলে -আপনি স্বাগত ! লাইনে দাঁড়ান

লাইন বাড়ছে লাইন বাড়ছে -
সম্মোহিত জনতার ঢল 
ভেড়ার খামার থেকে বের হল 
পাটকিলে ভেড়াদের দল

কোন মন্তব্য নেই: