“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭

আবর্তন


..  অশোকানন্দ রায়বর্ধন ।।

(C)Image:ছবি













 


পাততাড়ি খুলে সেদিন জেনেছিলাম দুনিয়াটা আজব লাটিম"
অবিরাম ঘুরে যাওয়াই তার কাজ বলে গুরুমশাইয়ের ভাষ্য
আঁধিয়ারি ঘেরা কাঁচা চোখজোড়ায় গাঁয়ের হাটচালার ঘেরাটোপে
বলরাম কলুর ঘানির দশাসই বলদজোড়ার ঘূর্ণনকে
উদাহরণ দিলে গুরুমশাই খুশি হয়ে পিঠ চাপড়ে দিয়ে
আমার ভবিষ্যতের দৈববাণী ছড়িয়ে দিতেন সহপাঠীদের ৷
টোলের সবাই সমান হয় না বলেই বেয়াড়া কেউ প্রশ্ন তুলত
পৃথিবীর আবর্তনের শুরুর দিনক্ষণ ৷
গুরুমশাইয়ের টিকিতে তার কোনো জবাব বাঁধা নেই ৷
সেই থেকে আমারও আর জানা হয় নি সেই শুরুর দিনের পরস্তাপ ৷
তবুও আমরা সেই দীর্ঘ পরিক্রমাকে ভেঙে নিই আমাদের মতো ৷
ঘুরন্ত চাকার লুব্রিকেন্টের মতো পুরোনো গ্লানি,কালিমা আর ক্লেদ মুছে ফেলে
 আবার ভালোবাসায় ভর করে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যে
আমরাই সৃজন করি নববর্ষ ৷
আমাদের মাঝে প্রেম ছাড়া আর বিলিয়ে দেওয়ার মতো
কিছু থাকে না এই ছিন্ন পাকপ্রণালীতে ৷

কোন মন্তব্য নেই: