“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ২৯ মে, ২০১৭

ফুলবন্তী

ফুলবন্তী        

কোনো মেয়ে যখন রাজনীতি করতে আসে
পায়ের কাছে আগে থাকতে গুছিয়ে নিতে চায়  বিশ্বস্ত উঠোন
গায়ে ঢলে পড়তে দেয়  সূর্যের লাল রঙ
ফুলবন্তীও রাজনীতি করেছিল, কলেজে,
দ্রোহের নয়, প্রেমের কাছে
পুনর্বাসন চেয়েছিল সতেজ তরুণের হৃদয়ে
তাই তার ডিমপুর গ্রামের আচ্ছন্ন সন্ধ্যা ভরে থাকতো স্লোগানে স্লোগানে
ফ্ল্যাগের আঁঠা, রঙ, মিছিলের ধুলো,
দিনশেষের নীতিমালা, সহজ করে বলা বিশ্বায়ন,
আসলে ফুলবতীর চোখে থাকতো ধোঁয়া,
কিছুই না শোনার স্তব্ধতা, শুধু পাশে থাকা,
রাজনীতির ছলে তরুণ অশ্বত্থের আনমনা স্পর্শ
অবশেষে সেই তরুণ ফিরে গেছে, ঝকঝকে নীলাভ জীবনে
ফেলে গেছে রঙমাখানো সময় গ্রাম্য মনে
অজান্তে অথবা হেলায়
উড়ছে এখন ফুলবন্তী সঠিক স্লোগানে
তার দাওয়ায় ভীড় করে আসে আজ গ্রামীণ হৃদয়,
বাষ্প ভাঙা চোখে রাস্তা, আলো, জল,
হৃদয়ে দ্রোহ আর প্রেম ছুটছে তীর ভেঙে, ঢেউ হয়ে

কোন মন্তব্য নেই: