“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৭ মে, ২০১৭

১৯ আমার অহংকার


              ।।রফিক উদ্দিন লস্কর।।














থা ছিলো পুরো পাকা রাত শেষে হবে ভোর,
সাধিয়া আপন কাজ সবলে দিলেন উল্টো সুর।
শুনিয়া এমন অভয়বাণী নাগরিকের বাড়ে ক্রোধ,
সকলে মিলিয়া করিলা সেদিন রাস্তা অবরোধ।
বাঙালি, বাংলা মোদের মাতৃভাষা এই পরিচয়,
বাঁচাতে মায়ের ভাষা, কিছুতে কেহ পিছপা নয়।
১৯শে মে ছিলো ধর্মঘট, বাংলার ভাষার শ্লোগান,
শিলচর স্টেশনে হাজার মানুষ করেন যোগদান।
দিদির শাড়িতে সাজিয়ে বোন সাথে ছিল সখিগন,
উদ্বেগী মায়ের মন তাই শতবার করিলা বারণ।
ছিলো দুশ্চিন্তা, দুপুরের দিকে মা চলিলেন তথায়,
কমলা খাওয়ায়ে জল, প্রণাম করিল মাতৃ পায়।
তথায় দেখিয়া নয়ন ভরে, মা ফিরিলেন নিজ ঘরে,
আড়াইটেয় পুলিশ এসে অতর্কিতে গুলি করে।
করে ছুটাছুটি সবে, মঙ্গলা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে,
বোনকে উঠায়ে কমলা, তার গলে জড়িয়ে ধরে।,
রাইফেল কেড়ে নিলো কিশোরী কমলার প্রাণ,
ভাষার জন্য মোর দশ ভাই দিয়ে গেলো বলিদান।
আমার ভাষা রক্তঝরা, বীর শহীদের আত্মত্যাগ,
আমার ভাষা আমার গৌরব, তাই এতো অনুরাগ।


১৭/০৫/২০১৭ ইং
নিতাইনগর,হাইলাকান্দি(আসাম)



কোন মন্তব্য নেই: