“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৩ জুন, ২০১৭

ঝাউবনের কাছে

 চিরশ্রী দেবনাথ
...................
(C)Image:ছবি

 















এক
ক্রমাগত সম্পর্কেরা ঝাউগাছের মতো তির তির
শীতকাল...কেড়ে নেয় পাখির  অভিমান,
দুর্বার ধান্যক্ষেতে ঝরে পড়ে কথার মিছিল
শয্যা চায়নি তারা, চেয়েছে ভার, লঘুকথা,
সবুজাভ সময় ছুটে গেছে জ্যা-মুক্ত তীরের মতো
জঙ্ঘায় ভীর করে এসেছে  শ্বেতদাগ, বরফের ঘরবাড়ি...
দুই
নবীনতর হওয়ার আগে আমি ছাল খসাই,
যেখানে লেখা আছে পড়ন্ত বিপ্লবের শ্লোগান এবং উৎসব।
আমি নিমন্ত্রণ পেয়েছি সব মরুভূমির স্বরলিপিতে,
আচ্ছন্ন বনভূমির প্রেম নিয়ে আমার দিকে ছুটে এসেছে,
আস্তো এক অ্যাসাইলাম, একটি ওরফ্যান হাউস,
এখানে ঘোর লাগা সম্পর্কে মানুষ ঘুরে ঘুরে ফিরে,
তারপর বিষাদে, নিশ্চুপে, জীবন্ত কোমায় ডুবে যায়।
জেগে থাকে চোখ এবং চীৎকার ...
তিন
বিরহে সম্পর্কেরা দলিত মথিত হয়
পথ জুরে যেন রচিত হয় ঝড়ো শালবীথিকা
নিমন্ত্রণ রেখে যায় ছায়ার দল
ফিরে আসে ফিরে আসে সেই ঢেউ
বলে যায় বিরহেই সব ঠিক ছিল, সব আলো জ্বলে উঠে বিচ্ছেদে ...
চার
বড়ো ছোটভাবে ভাবি সব
ঘরবাড়ি, জানালা, দরোজায় থেমে থাকি
বেলাভূমি... বারান্দা পেরোয় না
চায়ের কাপে চা ঢালাতেই থেমে থাকে জলপ্রপাত
একপলক দখিনা বাতাসেই টর্নেডো
আকাশগঙ্গা ছেয়ে থাকে ছাতে
কিছু অবেলাকেই মরুভূমি ভাবি, ভাবি ক্যাকটাসের বন
সৌন্দর্য গন্ধ  আমাকে গল্প বলে প্রতিবেশীর
চেনা পথঘাট কেন যে অরণ্য মনে হয় না?
তাহলে বেশ তো থাকতাম বন্য হয়ে,
গলার কাছে জমে উঠতো আরণ্যক সম্পর্ক, আবরণহীন ...
পাঁচ
মুক্ত হাওয়া এলো অবশেষে
ভাসতে ভয় ছিলো না,
ভাসানের জলে ভেসে থাকা কাঠামোকে ভয় পাই
একটি একটি ঋতু পেরিয়ে কাঠামোকে দিই অস্থি, মাংস, মজ্জা,
গুঁজে দিই অসুখের আংরাখা
এই অবারিত ধুলো বাতাস উড়িয়ে নিচ্ছে জমে থাকা ভার
শৌখিন মোমবাতি নক্সায় জেগে ওঠে আত্মরতি
তারপরই কি সেই ক্লান্তি...দিনে ভেসে যাওয়া ...

কোন মন্তব্য নেই: