“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৪ জুন, ২০১৭

শূণ্যপথ



                 ।।  অর্পিতা আচার্য ।।


তারপর, ঘোর রাত্রে মৃত্যু এসে ডাকে
একাদশী উপোসের টান টান শরীর
রতিচ্ছেদ ...কাষায় বস্ত্রের মত খস্ খসে পঞ্জর
হাল্কা হাল্কা, ধার ধার হাড়গোড়,:
ঢলে যাওয়া বুক, আর নরম চামড়ার গায়ে
খড়ি খড়ি, হাত বুলায় পরম মায়ায়
সে শীতল চন্দনের স্পর্শে যেন প্রথম
রাতের সেই ফুলশয্যা সুখ আবেশে
চুরচুর চোখ, রজনীগন্ধার মত নিঃস্পৃহ
কামুক তুলসীর মায়া স্পর্শ
অতন্দ্র ছায়ায় ঢেকেছে আলোকরেখা
পুরনো পথের পাশে, ডিঙ্গি নৌকা
এসে গেছে ; সুকোমল কলার মান্দাস
হালকা চালে দুলতে থাকে
নৈশ শিসের ডানা বেয়ে বেয়ে সে ভেলাতে
একটি ক্ষুদ্র শয্যা -তারপর -

কোন মাঝি নেই, বৈঠা নেই, দাঁড় নেই
দীর্ঘশ্বাস বাতাসের, পিছু ডাকা,
অনুরাগ, দুঃখ ক্রোধ, ভালবাসাবাসি
অভিমান,হিংসা দ্বেষ, সবকিছু খইয়ের মত
ছত্রাকার ছিটতে থাকে -

না পাতাল, না আকাশ, না পাহাড়
নয় কোন সমুদ্র বিলাস -
অনির্দিষ্ট, পথহীন,চলে যায় নির্মোহ
মান্দাস

কোন মন্তব্য নেই: