“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ৮ আগস্ট, ২০১৭

তোমাকেই মনে পড়ে






 ।। চিরশ্রী দেবনাথ।।

বি ঠাকুর পুষ্করদেখতে গিয়েছিলেন
পারেননি,পরিযায়ী পাখির মৃত্যুগল্প তাকে ফিরিয়ে এনেছিল
আজ যখন হাওয়া থরথর পুষ্কর’,দেখতে গেলাম
মনে হলো সারা ভারতের গায়ে মৃত্যুগন্ধ
রূপোর নথ পরা এক শুষ্ক তরুণী হেসে হেসে মরুজল তুলে দিলো হাতে
তাকিয়ে রইলাম, কী গান হবে কবিগুরু একে নিয়ে
"প্রাণ চায় চক্ষু না চায়সুর কেটে কেটে যেন সমূহ নোনা অক্ষর,
বসে যাচ্ছে খিদের থালায়, ক্লান্ত কর্কটক্রান্তির সীমন্তে
দেবমন্ত্র বলি,
"সাবিত্রী বামপার্শস্থা দক্ষিণস্থা সরস্বতী
সর্বে চ ঋষয়োহ্যগ্রে কুর্যাদেভিশ্চ চিন্তনম
মৃদু হাসুন দেবতা, পুজো দিতে আসিনি,
দেখে যাবো হ্রদের গভীরতা, গা থেকে না মুছুক কালো দাগ
 বর্ষা এসেছে,  রাজভূমির ধুলো ধুয়ে  নিচ্ছে পর্যটকের ফেলে যাওয়া সংসারী মন
সাবিত্রীপাহাড়ে যখন রাত নামে,
বধূদের দিয়ে যাওয়া পুজো, বানজারার গলায় গান হয়ে ফিরে যায়
এখানে ছমছমে অশ্বখুর, মীরাভজন, আবির,
তারা কেউ গৃহীদের বিশ্বাস করে না ...

কোন মন্তব্য নেই: