“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সুখে আছি

                 
            ।। রফিক উদ্দিন লস্কর ।।



(C)Image:ছবি
















দীর ধারে কাশফুল আর মস্ত হিজল গাছ,
গভীর জলে সাঁতার কাটে কতরকম মাছ।
একপাড়েতে ছোট্ট পাড়া নানা জা
তির বাস,
আত্মীয়তায় শিকড় গেড়ে থাকে বারোমাস।
জোয়ার ভাটা উঠলে পরে পাল্টে নদীর রূপ
নেই প্রতিবাদ নেই ঝামেলা এক্কেবারেই চুপ।
গাঙচিল ও মাছরাঙা পাখি উড়াউড়ি করে,
দেখলে পরে সুযোগ বুঝে শক্ত করে ধরে।
ব্যাধের ছেলে দেখলে তারে বিদ্ধ করে বাণে,
আসা যাওয়া চলে শুধু নদীর ঘাটের টানে।
সকাল দুপুর আনাগোনা অন্যপাড়ে শহর,
পাল তুলে নৌকো চলে নেইকো প্রাণে ডর।
রাখাল ছেলে তরুতলে বাজায় মোহন বাঁশি
 
কলসি কাঁখে বালা চলে মুখভরা তার হাসি।
চাষা চলে ক্ষেতের মাঠে সূর্য ওঠার আগে,
পাখির গানে ফুলের বাসে মনে খুশি লাগে।
-------------------
৩০/০৯/২০১৭ইং
নিতাইনগর, হাইলাকান্দি (আসাম-ভারত)

কোন মন্তব্য নেই: