“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৭

কাঞ্চন, তোমার জম্পুই ভালো নেই

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি


















.
কাঞ্চন, একদিন তুমি বলতে--
জম্পুই, তোমার নীল রঙের চওড়া বুক আর সবুজ ভাবনায় আমি ঋতুমতী,
শুনেছি ঐ নীল বুকের ভেতর কমলা রঙের মন আছে,
ঝর্ণাধারায় নেমে আসে লুসাই সুর,
শিহরিত মন শিশির- আঁচলে ঢাকি।
একদিন তুমিই বলতে--
অবাধ বিচরণের সব প্যারাসুট খোলা রাখি বুকে,
মাটি- আকাশের মিলনমেলায় পরীর মতোই নেমে আসে কুয়াশা
আদরে আবদারে ভিজে যায় পাহাড় তোমার,
আমি স্বপ্ন বুনি, প্রহর গুনি।
.
কাঞ্চন, তুমি ভালোই আছো,
হারাধন বৈরাগী, অমলকান্তি চন্দ- দের বুকে জড়িয়ে;
তোমার জম্পুই ভালো নেই,
বনোজাতের তীব্র শব্দ ছুরি 

প্রশ্নের মতোই মগজের তার কাটে,
মনে হয় চেঁচিয়েই বলছে--
স্পন্দন শোনাও তোমার, যেভাবে--
কাঞ্চন শোনে,
ছুঁয়ে দেখে, 

বনোরেখায় ছাপানো বুক আঁচলে ঢাকে।
.
কাঞ্চন, ভালো করে একবার চেয়ে দেখো--
চওড়া বুকে আগের মতো কমলারঙ নেই এখন,
কেউ আমার শরীর বিষাক্ত করে তুলছে,
হৃদয় ছোঁবার সব পথ এবড়োখেবড়ো,
চোরাকারবারির চলাচলে দমবন্ধ হয়ে আসে 

রোজ রাতে, ছুঁড়ে ফেলা খালি বোতলে শিশিরের থুতু আর প্লাস্টিকের দখলদারি--
নীল বুকে সময়ের ব্যথা, ভীষণ...
তবু হৃৎস্পন্দন শুনবে বলে সরুপথে পা রাখে অনেকেই
মাতাল মানুষ অথবা মানুষের মতো মাতাল,
তোমার জম্পুই ভালো নেই।

কোন মন্তব্য নেই: