“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

রাত্রি বন্দনা



 ।। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ।।








মার রাত্রি বন্দনা -
আমার পরিধি আধেক ধরণী
বৃত্তমাঝেই সতত আমার
বিশ্বরূপের কল্পনা।
আমার বিশ্ব নিদ্রামাঝে
গভীর স্বপন মগ্ন
আমি তখন আঁধার রাতে
আপন খেয়াল মগ্ন।
জীবন ছবি মনমুকুরে
ঢেউ খেলে যায় ছন্দে রূপে
আমার বৃত্তে আনাচে কানাচে
হাতড়ে বেড়াই স্মৃতি যত
বাইরে গভীর রাতের শব্দ
গুরুগম্ভীর নীরব তান।
বুকের ভেতর ছলকে ওঠে
সালতামামি জীবন গান।
চলার পথে আপন জনের
ভালোবাসার মধুর স্মৃতি
হৃদয়পুরের অন্ত:স্থলে
প্রাণের সখার অবস্থিতি।
কোথায় কেমন দূর বিদেশে
ছিটকে গেল মনের মানুষ
আমার আমি কেমন করে
হাজির হলাম আজকে যেথায়।
কত পথ, পেরিয়ে এসে কত যে ঘাট
শতাব্দীর আধেক ঘেটে
যোগ বিয়োগের অঙ্ক আজো
কষতে থাকি সময় পেলেই।
আমার সময় একলা সময়
রাতের আঁধার নিঝুম ক্ষণ
একটা একটা করে স্মৃতির
গভীর পরখ বিশ্লেষণ।
বদলে গেল দিনগুলো সব
বদলে গেল আপনজন
বদলে গেল আমার পৃথ্বী
আমিই কি সেই আসল জন ?
রাতের খেয়াল এমনি করে
বাঁধন পরায় অন্তরাত্মায়
মনটা আমার পাগলপারা
হাতড়ে বেড়ায় জীবনধারা
আঁধারকে তাই ভালবাসি
আঁধার স্মৃতির গান যে গায়।।


কোন মন্তব্য নেই: