“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

বিজয়

।। অশোকানন্দ রায়বর্ধন।।

(C)Image:ছবি









জ রাতে মরালমিথুনের সাক্ষী হব বলে
বনকর রোড ধরে বৈদ্যপাহাড়ের ঠিকানা
খুঁজে খুঁজে মধ্যরাত ৷ নিদ্রিত বিনন্দিয়ারা
জানল না কজন মুক্তিযোদ্ধার নবীন বান্ধব
অতীতের গ্রেনেড বয়ে নিয়ে ইতিহাস খোঁজে ৷
সূর্যের সন্ধান চাই উষ্ণ আকাশের পরিচিত ওমে
সূর্যের সন্ধান চাই বীজধানের ঘুম ভাঙাতে
সূর্যের সন্ধান মায়ের শরীরের সবুজ মেখলায়
প্রিয়ার চোখ থেকে সন্ত্রাস হটাতে সূর্যের খোঁজ
দূরে দূরে রাতচরা পাখিরা জেগে উঠে জানান দেয়
মিলিটারি বুটের দাম্ভিক পদাতিক শব্দ
দশকের পরও যাদের স্বভাবের বদল হয় না ৷
স্বাধীনতা ওদের কাছে অসহনীয় উৎপাত ৷
তারপরও আমরা উল্লাস করব আজ রাতে
বাজি ও পটকায় ৷ আমাদের পূর্বপুরুষেরা
আজ স্বাধীনতার পতাকা ওড়াতে সক্ষম ৷
সে শুধু তাদের জয় নয় ৷ আমাদেরও গৌরব ৷
রক্তের স্মৃতি বড়ো দাগ কাটে স্বাধীন মানুষের
উঠোনপাটে ৷ খোলা হৃদয় জেগে ওঠে স্বপ্নে ৷
বিজয়ের সাহসী ঘ্রাণ কাঁটাতার টপকে আসে
কালো রাত মুছে ফেলে কড়া নাড়ে নির্মল ভোর ৷

কোন মন্তব্য নেই: