“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

রবিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৮

শব্দ-সংকেত



|| অর্পিতা আচার্য ||

লুদ বিকেলে এক প্রত্ন -শরীর
ধীরে ধীরে আবরণহীন
অ্যাপোলোর মত সুদর্শন, 
কব্জিতে তার ঝিকমিক
অহংকার পৌরুষের...
অথচ আয়তপক্ষ দুই চোখে
স্নেহ ম্লান আশ্রয়ের উষ্ণ সন্দেশ
সে হাত ধরলে
যেন সোহাগী পিঞ্জর চুরচুর ভেঙে পড়ে -
রেশমের উড়ন্ত কার্পেট তেপান্তর মাঠকে ছাড়িয়ে
চলে যায় আদিম অরণ্যে
সেখানে গম্ভীর রাতে
জোনাকির ফুলশয্যা যেন -
প্রত্যেকটি বৃক্ষের গায়ে
মুকুলিত গর্ভিণী ফুলেরা,
উষ্ণ সংকেত দেয়
মিলনের, আদি অন্তহীন এক মিলনের
নিষিদ্ধ বিলাস ঘিরে ধরে কলসীপত্রসম
আহ্, সে মিলন যেন রতিক্লান্তিহীন
উষ্ণ প্রস্রবণ হয়ে ঝরে যায় অন্তহীন,
তীব্র -ঘন ক্ষীর, উন্মত্ত যতটা-
তার চাইতে স্নিগ্ধ অনেক বেশি
রতিক্ষান্ত করুণ সকালে,
সযত্ন স্নেহের হাত বুলায় সে চুলে
সে পুরুষ সুন্দর ! দেহ তার ! মন তার !
অপরূপ ভালোবাসা বটচ্ছায়া সম --হায়
নারী জন্মে পুরুষের রূপের ব্যাখ্যান -
অশোভন, তবু তাকে আঁকছি আজ
আপাত নির্লজ্জ এই শব্দ -সংকেতে !

কোন মন্তব্য নেই: