“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

বুধবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

ঋতুবন্ধ চিঠি এবং পত্রবিলাপ

।। অভীক কুমার দে ।।

(C)Image:ছবি




















চুপসে যাওয়া ত্বক আর খসখসে আঁচড় দেখে মনে হয়
যৌবনের ভেজা শরীর চুষে খেয়েছে,
শীত যাবার আগে
ক্ষয়রোগের হাঁক
আকাশের দিকে চায়।
আকাশেরও তেমন কী আছে ?
একটা বিশাল ফাঁকা শরীর,
অস্পৃশ্য শূন্যতায় অনুভবের ছায়াপথ
কিছু আলো কিছু আঁধার জেগে...
খাবার নেই, 

থাকার জায়গা নেই, 

শুশ্রূষাও তেমন কিছু না,
বদলে যাওয়া বাতাসের হাত ধরে
অসময়ে কঠিন অসুখ
আর ভালো হয় না,
ফাটলের ঢাল বেয়ে নেমে আসে
হাড়ের উপর 

পেরেক ঠুকে
লিখে রাখে আর কত বয়স...
আয়ুর পারদ ঋতুবন্ধ চিঠি পাঠালে
কান্নায় কেঁপে ওঠে শুখা পশম--
আবার বুঝি ঝরে পড়া পত্রবিলাপ !

কোন মন্তব্য নেই: