“...ঝড়ের মুকুট পরে ত্রিশূণ্যে দাঁড়িয়ে আছে, দেখো ,স্বাধীন দেশের এক পরাধীন কবি,---তার পায়ের তলায় নেই মাটি হাতে কিছু প্রত্ন শষ্য, নাভিমূলে মহাবোধী অরণ্যের বীজ...তাকে একটু মাটি দাও, হে স্বদেশ, হে মানুষ, হে ন্যাস্ত –শাসন!—সামান্য মাটির ছোঁয়া পেলে তারও হাতে ধরা দিত অনন্ত সময়; হেমশষ্যের প্রাচীর ছুঁয়ে জ্বলে উঠত নভোনীল ফুলের মশাল!” ০কবি ঊর্ধ্বেন্দু দাশ ০

শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

নারী


মূল অসমিয়া: ইসমাইল হোসেইন, 
অনুবাদ:পার্থ সারথি দত্ত
(C)Image:ছবি















কটা বৃত্তের মাঝে আমি ঘুরছি তুমিও ঘুরছো,
আমি ছুটছি বৃত্তের পরিধিতে,তুমিও তাড়িয়ে আসছো আমায়
দেখেছি ৷বুঝেছি তোমায়;
পীড়ণে বিবর্ণ করা তোমার মুখখানা রুটির মতো
তোমার চোখ দুটো শূন্য বৃত্তের মতো
তোমার বুকখানি খোলা বইয়ের মতো ৷
   
আমি তোমার বুকের বর্ণগুলো চিনি
আমি কণ্ঠস্থ করেছি তোমার বুকের ভাষাগুলো;
তথাপিতো জেনে বুঝে ঘুরছি,শূন্যবৃত্তের পরিধিতে
আর অজান্তে বন্দী হয়ে পরছি বৃত্তটির মাঝে
আমি যখন ডুবে মরি বিষন্নতার সাগরে
তখন রুটির মতো তোমার মুখখানা চাঁদ হয়ে ওঠা দেখি
   
তোমার থেকে আমি অব্দি আবর্তনের একটি পথ
যেন বৃত্তের থেকে একটি চাঁদ
যেন চাঁদের থেকে তোমার মুখ
তোমার মুখের থেকে এক টুকরো রুটি
আবার রুটির থেকে একটা বৃত্ত ৷
এভাবেই একটা পরিক্রমার মাঝে
শূন্যের মতো তোমার জীবনটায় প্রবেশ করি;
আর তোমার স্পর্শে শূন্যের মাঝে হয়ে
কটা উজ্জ্বল নক্ষত্র  
            --------------0------------



কোন মন্তব্য নেই: